পাটনা: রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব এবং অখিলেশ যাদব হলেন ‘পাপ্পু’, ‘টাপ্পু’ এবং ‘আপ্পু’! গান্ধীজির তিন বানরের মতোই কাজ করেন ইন্ডি জোটের এই তিন নেতা। শুধু জাতপাতের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দাঙ্গায় ইন্ধন জোগান। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে এসে বিরোধী নেতাদের এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। বললেন, ‘পাপ্পু কখনও সত্যি কথা বলেন না। টাপ্পু কখনও সত্যিটা দেখতে পান না। আর আপ্পু কখনও সত্যি কথা শুনতে চান না। মাফিয়াদের পরিবারের সদস্যদের শিষ্য করে এই তিন বানর বিহারের নিরাপত্তাকে বড়সড় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। বিহারে এঁরা এক জাতের সঙ্গে অন্য জাতের লোকজনকে বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।’ এনডিএ প্রার্থী সঞ্জয় সারোগীর সমর্থনে সোমবার বিহারের দ্বারভাঙ্গায় প্রচার করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে অপরাধীদের স্বাগত জানানোর অভিযোগও করেছেন তিনি।
দু’দশক আগে বিহারের রাজপাট সামলেছে আরজেডি জোট। সেই সময়ের অরাজকতা মনে করিয়ে যোগী বলেন, ‘তখন মুদির দোকান লুট হতো। আর এখন দেশের ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেয়ে থাকেন। এঁদের মধ্যে বিহারের মানুষও রয়েছেন।’ যোগীর প্রতিশ্রুতি, এনডিএ বিহারে ক্ষমতায় ফিরলে বহিরাগতদের রাজ্যছাড়া করবেন। আর তাঁদের সম্পত্তি গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে। বিহারবাসীর প্রতি যোগীর আহ্বান, ‘আসুন আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করব না বলে শপথ নিই।’
প্রাচীন কাল থেকেই জাপানি প্রবাদে তিন বানরের উপস্থিতি রয়েছে। মিজারু, কিকাজারু এবং ইওয়াজারু। তাঁদের ছবিও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে জাপানের নিক্কোর তোশো-গু মন্দিরে। দুই হাত দিয়ে চোখ চাপা দেওয়া মিজারুর। কিকাজারু দুই হাতে কান চাপা দিচ্ছে। আর ইওয়াজারুর দু’টি হাত রয়েছে মুখে। খারাপ কাজ করা, ভুল কথা শোনা এবং নোংরা কথা বলা থেকে নিজেদের বিরত রাখতেই ‘তিন জ্ঞানী বানর’-এর এই চিত্রলিপি বলে মনে করা হয়। গান্ধীজির কথাতেও সেই বর্ণনা পাওয়া যায়। রাহুল, তেজস্বী ও অখিলেশকে আক্রমণ করতে ভিন্ন প্রেক্ষিতে সেই ‘তিন জ্ঞানী বানর’-এর প্রসঙ্গই তুলে ধরলেন যোগী।