সোমবার চাঁচল ১ ব্লকের ভগবানপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পাড়ায় সমাধান শিবিরে ব্যাপক সাড়া। এদিন ওই এলাকার জোতচণ্ডীতে একসঙ্গে তিনটি বুথ নিয়ে শিবির করে প্রশাসন। সেখানে রাজ্য সরকারের জনমুখী কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, খাদ্যশ্রী, রূপশ্রী ও কর্মসাথী সহ একাধিক প্রকল্পের টেবিল বসে। সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, খতিয়ে দেখতে এদিন শিবির পরিদর্শন করেন মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। তিনি উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা, অসুবিধা জেনে নিয়েছেন।
বেহাল রাস্তা, নিকাশি নালা ও আলো সহ একাধিক দাবি এদিন শিবিরে তুলেছেন এলাকার মানুষজন। সেই কাজগুলি দ্রুত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। চাঁচল এলাকার সিংহভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিযায়ী শ্রমিকরাও কর্মসাথী প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন এদিন।
রফিকুলের পাশাপাশি শিবিরে ছিলেন চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহিন আখতার ও ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলো মহালদার সহ অন্যরা। তৃণমূলের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার ছোট রাস্তাগুলি পাকা করা হবে। নিকাশি সমস্যা মেটানো ও আলোর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উন্নয়নের নিরিখে ফের চাঁচল বিধানসভা দখল করবেন বলে এদিন দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা।
রফিকুল বলেন, চাঁচল বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে তিন কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে। আরও টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। চাঁচলে আর কাঁচা রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। রামদেবপুরের মিরাজ হোসেন এদিন শিবিরে পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এলাকায় একটি ঘাটের রাস্তা দীর্ঘদিন কাঁচা রয়েছে বলে যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। এবার দ্রুত কাজ হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।- মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি। চাঁচলের জোতচন্ডিতে তোলা নিজস্ব চিত্র