• বাহরিনে এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব উত্তরের পলাশ, স্বপ্নিল ও মিষ্টির
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাহরিনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ গেমস অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করল উত্তরের তিনজন। এদের মধ্যে দু’জন স্বপ্নিল দত্ত ও মিষ্টি কর্মকার স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সাই) জলপাইগুড়ি সেন্টারের। এছাড়া মালদহ জেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করে পলাশ রায় নামে আরও একজন। ২২-৩১ অক্টোবর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপ্নিল ডিসকাস থ্রোতে অংশ নেয়। ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে সে। মালদহের মেয়ে মিষ্টি জ্যাভলিনে অংশ নিয়ে অধিকার করেছে অষ্টম স্থান। অন্যদিকে, মালদহ থেকে এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে অংশ নেওয়া পলাশ তিন কিমি হাঁটা বিভাগে তৃতীয় হয়ে পদক জিতে নিয়েছে। গত এপ্রিলে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশ নিয়েছিল মিষ্টি। সেখানে সপ্তম স্থান অধিকার করে সে। গত বছর সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন গেমসে জলপাইগুড়ি সাই থেকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সাগর রায়।

    আন্তর্জাতিক স্তরে অ্যাথলেটিক্সে উত্তরবঙ্গের ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে খুশি স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার জলপাইগুড়ি সেন্টারের ইনচার্জ ওয়াসিম আহমেদ। সোমবার তিনি বলেন, বাহরিনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ গেমস অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তরবঙ্গ থেকে তিনজন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে। এর মধ্যে আমাদের সেন্টারের দু’জন ছিল। আর একজন মালদহের।

    উত্তরবঙ্গ থেকে স্বপ্না বর্মনের মতো আরও অনেক অ্যাথলিট তৈরি করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি জলপাইগুড়ি সাই সেন্টারের ইনচার্জের। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের সেন্টারে অ্যাথলিটে ১২ জন ছেলে এবং ১৫ জন মেয়ে অনুশীলন করছে। তাদের বেশিরভাগই জাতীয় স্তরে পদক জয়ী। আন্তর্জাতিক স্তরেও অনেকেই প্রতিনিধিত্ব করছে। উত্তরবঙ্গ থেকে স্বপ্না বর্মনের মতো যাতে এশিয়াডে সোনাজয়ী আরও অ্যাথলিট তৈরি হয়, সেজন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। জলপাইগুড়ি সাই সেন্টারে সিন্থেটিক ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে।

    এর আগে জুনিয়র ন্যাশনালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের সেরা অ্যাথলিটের স্বীকৃতি পেয়েছে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙার কৃষক পরিবারের সন্তান বিকি বর্মন। জ্যাভলিনে সোনা জেতে সে। জলপাইগুড়ি সাই-এ অনুশীলন করছে বিকি। এছাড়াও এর আগে জলপাইগুড়ির সাই-এর মনোজ রায় স্কুল ন্যাশনালে ব্রোঞ্জ জিতেছে। মালবাজারের বড়দিঘির বাসিন্দা সে। মনোজের বাবা একজন টোটোচালক। অনূর্ধ্ব-১৭’র পর অনূর্ধ্ব-১৯ শটপুট বিভাগে ব্রোঞ্জ পেয়েছে মনোজ। অন্যদিকে, ন্যাশনালে অনূর্ধ্ব ১৮’র পর অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে দেশের সেরা হাইজাম্পারের স্বীকৃতি রয়েছে হলদিবাড়ির সাগর রায়ের ঝুলিতে। ন্যাশনালে অনূর্ধ্ব ১৮ মেয়েদের বিভাগে লংজাম্পে রুপো এনেছে কোচবিহারের টাকাগছের আফিয়া খাতুন। জলপাইগুড়িতে সিন্থেটিক ট্র্যাক হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে উত্তরবঙ্গের অ্যাথলিটদের সাফল্য আরও বাড়বে বলে আশা ক্রীড়াবিদদের। • মিষ্টি কর্মকার ও স্বপ্নিল দত্ত।
  • Link to this news (বর্তমান)