• উত্তরের ৫ জেলায় নিয়োগ সাড়ে সাত হাজার বিএলও
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সুব্রত ধর , শিলিগুড়ি:

    ট্রেনিং শেষ। ইনিউমারেশন ফর্মও প্রস্তুত। আজ, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর নিয়ে ময়দানে নামবেন বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওরা। তাঁরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বিএলও। সোমবার ইনিউমারেশন ফর্ম, ভোটার তালিকা সহ তাঁদের বিলি করা হয়েছে বিএলও কিট। এমনকী দেওয়া হয়েছে পরিচয়পত্র। তা হলেও এসআইআর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনায় যথেষ্ট চাপে বিএলওরা। তাঁদের একাংশ নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। আবার কেউ কেউ স্কুলের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। 

    বাংলায় এসআইআরের কথা গত সপ্তাহে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো উত্তরবঙ্গও প্রশাসনিক স্তরে এনিয়ে শুরু হয় প্রস্তুতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জের সামলে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন বিএলওদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে। বিএলওদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ভোটারের বর্তমান সংখ্যা অনুসারে দ্বিগুণ ইনিউমারেশন ফর্ম ছাপা হয়েছে। 

    প্রশাসন সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট পাঁচ জেলায় বিধানসভা কেন্দ্র ২৭টি। বুথ প্রায় সাড়ে সাত হাজার। প্রতি বুথে একজন করে বিএলও। অধিকাংশই শিক্ষক। এদিন তাঁদের জেলা ইলেকশন সেল থেকে বিলি করা হয় বিএলও কিট। তাতে একটি ব্যাগে আছে পেন, পেন্সিল, ২০০২ ও ২০২৫-এর ভোটার তালিকা, ইনিউমারেশন ফর্ম, ইনসট্রাকশন শিট। দেওয়া হয়েছে বিএলওর পরিচয়পত্র। আজ থেকে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মধ্যে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করবেন। 

    সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং একটি। এদিন জেলার শৈলশহর দার্জিলিং এবং সমতল শিলিগুড়িতে ইলেকশন সেলে দিনভর ছিল বিএলওদের ভিড়। বিএলও কিট সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁরা আধিকারিকদেরকে এসআইআর নিয়ে নানান প্রশ্ন করেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৩৫, কার্শিয়াংয়ে ২৯৬, শিলিগুড়িতে ২৪৫, মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে ৩২৮ এবং ফাঁসিদেওয়ায় ২৬১টি বুথে একজন করে বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, প্রশিক্ষণ শিবিরে কয়েকজন বিএলও গরহাজির ছিলেন। এদিন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিএলওদের কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশা করছি। তাছাড়া ভোটারদের সহায়তায় বিডিও এবং এসডিও অফিসগুলিতে করা হচ্ছে সহায়তা কেন্দ্র। 

    এদিকে, বিএলওদের কয়েকজন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এমন আবহে গ্রামে বিএলওদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য বলেন, বিষয়টির দিকে নজর রয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশন যা বলবে সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)