• রাজসিক সংবর্ধনা রিচাকে, তৈরি হচ্ছেন শিলিগুড়ি শহরবাসী
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

    সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা ঝুলন গোস্বামীরা কাছাকাছি গিয়েও পারেননি। প্রথম বাঙালি হিসেবে ক্রিকেটে বিশ্বজয়ের কৃতিত্ব গড়লেন শিলিগুড়ির মেয়ে! রিচার বিশ্বকাপ জয়েই দিনভর মেতে রইল এই শহর। দোকান-বাজার হোক বা পাড়ার চায়ের দোকানে আড্ডা, সোমবার সর্বত্র লোকের মুখে একটাই নাম, রিচা ঘোষ। চর্চা চলছে, শিলিগুড়ির নয়া ‘আইকন’কবে পা রাখবেন শহরে? তাঁর অপেক্ষাতেই দিন গুনছে শহরবাসী। কীভাবে বরণ করে নেওয়া হবে, তার পরিকল্পনাও মোটামুটি তৈরি। ঘরের মেয়েকে স্বাগত জানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে থাকবেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। 

    রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনালে রিচা ২৪ বলে করেন ঝোড়ো ৩৪। সেই ইনিংসের সুবাদে তিনশোর কাছে পৌঁছয় ভারত। উৎসব তখনই শুরু। ভারত চ্যাম্পিয়ন হতেই মাঝরাতেও শিলিগুড়িতে শুরু উন্মাদনা। পাড়ায় পাড়ায় ফাটতে থাকে বাজি,পটকা। সারারাত লেগে থাকে হই-হুল্লোড়। সোমবার  কেকও কাটা হল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে।

    বিশ্বকাপে সর্বাধিক ১২টি ওভার বাউন্ডারি মারার রেকর্ডও গড়েছেন রিচা। মেয়র থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক, সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মেয়র বলেছেন, ‘শিলিগুড়ির ইতিহাসে রিচার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ও আমাদের অহঙ্কার, অনুপ্রেরণা। রিচা শহরে ফিরলে মনে রাখার মতো সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’ 

    তার আগে সোমবার সকালে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের তরফে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কেক কেটে রিচার অনবদ্য ব্যাটিং ও ভারতের জয় সেলিব্রেশন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহার কোচ জয়ন্ত ভৌমিক, মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার এবং অগণিত মহিলা ক্রিকেটার। 

    এরমধ্যেই রিচাকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাব। এই ক্লাবেই চার বছর বয়সে রিচার ক্রিকেটে হাতেখড়ি। ক্লাব সম্পাদক প্রসূন দাশগুপ্ত বলেন, ‘সকালে রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ ফোন করেছিলেন। আমার এবং মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। বুধবার ভারতীয় দলকে সংবর্ধনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। আরও কিছু সংবর্ধনা রয়েছে। সব চূড়ান্ত হওয়ার পর মানবেন্দ্রবাবু জানাবেন রিচা কবে শিলিগুড়িতে ফিরছেন। আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা জিপে বাইকের কনভয় করে রিচাকে ক্লাবে নিয়ে আসা হবে প্রথমে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে রিচাকে স্বাগত জানাবেন মেয়র।’ 

    বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যের কোচ গোপাল সাহার কথায়, ‘মাত্র চার বছর বয়সে আমার কাছে প্রথম আসে। পরেও বাবার সঙ্গেই কলেজ মাঠে প্রশিক্ষণ নিতে আসত। ছেলেদের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছে ও। প্রথম থেকেই নিজের জাত চিনিয়েছে।’- নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)