বয়স মাত্র ২২। প্রথম বাঙালি হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, সেকথা বলাই বাহুল্য। এমন সোনার মেয়ের নাড়ির যোগ রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের সঙ্গেও। আসলে বেলবাড়িতে তাঁর মামার বাড়ি। বিশ্বক্রিকেটে উদীয়মান নক্ষত্র হয়ে ওঠার আগে থেকে সেখানে যাতায়াত ছিল নিয়মিত। সেই সূত্রেই এলাকার সকলের কাছে যেন ‘ভাগ্নী’ হয়ে উঠেছেন রিচা। এখন ব্যস্ততার জন্য যাওয়া সম্ভব না হলেও নিয়ম করে মামা, মামী সহ বাকিদের খোঁজ খবর নেন তিনি।
বেলবাড়ি স্কুল মাঠে এসে মামার বাড়ির এলাকার ছেলেদের সঙ্গে ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলতেন রিচা। রবিবার রাতে কাপ জয়ের পর থেকে এরকম আরও অনেক স্মৃতি নিয়েই চলছে আলোচনা। আনন্দ ভাগ করে নিতে রিচার মামার বাড়ির সামনেই পাড়ার লোকজন দেদার বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেছেন। গতবার হোলিতে মামার বাড়িতে এসেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ভাই, বোনদের সঙ্গে কালদিঘি পার্কে ঘুরতে গিয়ে ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছেন সেই মুহূর্ত। এখন শুধুই রিচার ফেরার প্রহর গোনার পালা। শিলিগুড়িতে ফিরলেই মামার বাড়ির লোকেরা পৌঁছে যাবেন সেখানে।
মামি শিখা ঘোষের কথায়, আমাদের স্টেডিয়ামে গিয়ে ফাইনাল দেখার কথা বলেছিল রিচা। কিন্তু যেতে পারিনি। টিভিতেই ফাইনাল দেখেছি। ও ছুটি পেলেই গঙ্গারামপুর চলে আসে। কথায় কথায় শিখার মুখে উঠে এল রিচার দায়িত্ববোধের প্রসঙ্গ। যেভাবে বাইশ গজের লড়াইয়ে দেশের ভার কাঁধে লড়াই করে যান, মাঠের বাইরেও তিনি একইরকম দায়িত্বশীল। শিখা বললেন, রিচার মন অনেক বড়। গঙ্গারামপুর চৌপথীর পাশেই ছোট মামা গোবিন্দ ঘোষের গাড়ির টায়ারের দোকান। সেখানে হাওয়া দেওয়ার মেশিন ফেটে জখম হন তিনি। রিচা বাইরে থাকলেও আমাদের সঙ্গে কথা বলে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেছিল। এভাবেই ও সুখ, দুঃখে আমাদের সঙ্গে থাকে। ক্ষীরদই রিচার খুবই প্রিয়। তাই শিলিগুড়ি গেলে সঙ্গে নিয়ে যাবেন বলে জানালেন মামা। গঙ্গারামপুরের কালদিঘি পার্কে আত্মীয়দের সঙ্গে রিচা। - ফাইল চিত্র।