• কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন! অভিযোগে চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ চোপড়ায়। অপহরণের অভিযোগে কিশোরীর বিবাহিত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর বাড়ি চোপড়ার ঘিরনিগাঁও এলাকায়। স্থানীয় একটি হাইস্কুলে সে দশম শ্রেণিতে পড়ত। ধৃতের নাম জরিফুল হক। তার বাড়ি দাসপাড়া পঞ্চায়েতের নজরপুরের ডাঙ্গাপাড়ায়। সে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক।

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জরিফুল তিন সন্তানেরর বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেছিল। শুধু তাই নয়, সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েও যায়। প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার পর স্বপ্নভঙ্গ হয় কিশোরীর। সে জানতে পারে প্রেমিক বিবাহিত। এরপরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। যদিও মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ অক্টোবর কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এর মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই ২ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চোপড়ার দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে জরিফুল। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ধৃতের আত্মীয়দের দাবি, ২ নভেম্বর সকালে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পেয়ে জরিফুল তাকে উদ্ধার করে। 

    কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, ২ নভেম্বর স্কুলে ফর্ম ফিলাপের নাম করে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজখবর নিয়েও পাননি। পরে তারা দাসপাড়া পুলিস ফাঁড়িতে বিষয়টি জানান। অবশেষে এদিন তার মৃত্যুর খবর পায়।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই জরিফুলের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছিল। তবে কিশোরীকে নিয়ে জরিফুল নিজের বাড়িতে ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়দের বাড়িতে ঘুরে বেড়িয়েছে। ২ নভেম্বর ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে কিশোরীকে ভর্তি করানোর পর পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।

    মৃত কিশোরীর দাদা বলেন, আমার বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আমার বোনের খুনের ন্যায় বিচার চাই।

    ধৃতকে সোমবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, জরিফুল হককে এদিন আদালতে তোলা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের হয়েছে। ধৃতের পাঁচ দিনের পুলিস হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
  • Link to this news (বর্তমান)