• পশ্চিম মেদিনীপুরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন
    বর্তমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চাষিদের থেকে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এবার ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার মেট্রিকটন। গত বছরের এই পরিমাণ প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম হলেও শেষ দিকে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন থেকে কমিয়ে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছিল। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, গত বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা একশো শতাংশ পূরণ হয়েছিল। এবছর একদিকে প্রশাসনের তরফে ধানের দাম বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধানের ফলন বেড়েছে। ফলে ধান বিক্রির প্রবণতাও বাড়বে। এছাড়া ফঁড়েরাজ কমাতে ৭টি ভ্রাম্য ধান ক্রয় কেন্দ্র জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যাবে। প্রত্যন্ত এলাকার চাষিরা বাড়িতে বসেই ১ নভেম্বর থেকে ধান বিক্রি করতে পারবেন। জেলার খাদ্য নিয়ামক অরবিন্দ সরকার বলেন, গত বছরের তুলনায় ধান বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে আশাবাদী। চাষিরা ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মোবাইল ধান ক্রয় কেন্দ্র বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ধান সংগ্রহ করবে। জেলার চাষিরা বর্তমানে শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তাতে ধানের উৎপাদনও বাড়ছে। আগে চাষিরা সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাতেন না। ধানের দাম খুবই কম ছিল। এবার সে কথা মাথায় রেখে দামও বাড়ানো হয়েছে। আগে এক কুইন্ট্যাল ধান বিক্রি করে ২ হাজার ১৮২ টাকা পেতেন চাষিরা। এখন করা হয়েছে কুইন্ট্যাল প্রতি ২ হাজার ৩৬৯ টাকা। ধান বিক্রি নিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই জেলার সবং, ডেবরা, পিংলা, দাসপুর ১, দাসপুর-২ সহ বেশকিছু ব্লকে ধান বিক্রির প্রবণতা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। অপরদিকে গড়বেতা-৩, নারায়ণগড় সহ জেলার বেশকিছু ব্লকের চাষিরা এখন থেকেই ধান বিক্রির আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ধান কাটার আগেই বাড়তি টাকা দিয়ে ফড়েরা বুকিং করে নেয়। তাই চাষিদের আগে থেকে ফোন করা হচ্ছে। চন্দ্রকোণা রোড এলাকার চাষি নকুল দাস বলেন, ধান বিক্রির প্রক্রিয়া আরও সহজ হলে চাষিদের সুবিধা হয়। তবে ধানের দাম বাড়ানোয় উপকার হবে। প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা পাচ্ছি।
  • Link to this news (বর্তমান)