‘নভেম্বর রেইন’ কমতেই ‘হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে’। ঘূর্ণিঝড় এবং ঘূর্ণাবর্তর প্রভাব কাটিয়ে উঠতেই কমেছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমেছে শহরের তাপমাত্রা। শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি। আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২৫.১ ডিগ্রি। রবিবার প্রায় দুই ডিগ্রি কমে তা হয়ে দাঁড়ায় ২৩.২ ডিগ্রি। সোমবারও রাতেও প্রায় দুই ডিগ্রি পারা পতন হয়ে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি।
মূলত, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হওয়ার কারণেই তাপমাত্রা এতটা কমেছে। রবিবার রাতে কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৭৪ শতাংশ। সোমবার রাতে তা কমে দাঁড়ায় ৪১ শতাংশে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণের এতটা তারতম্যের কারণেই তাপমাত্রা কমেছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তার সঙ্গে একাধিক জায়গায় ভোরের দিকে হালকা কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে।
তবে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মায়ানমার থেকে আন্দামান সাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে সুবিশাল একটি ঘূর্ণাবর্ত। এটি ক্রমশ এগোচ্ছে মায়ানমারের দিকে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উপরে ফের তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল। এর সরাসরি কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। ফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ মোটের উপরে শুকনো থাকবে। তবে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বাতসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শুক্রবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে ফের শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। শুষ্ক রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া থাকবে। রাতের তাপমাত্রায় কিছুটা পতন হলেও দিনের তাপমাত্রা মোটের উপর একইরকম থাকবে।
কলকাতায় বুধবার পর্যন্ত রোদ্রজ্জ্বল ঝলমলে আকাশের দেখা মিলবে। তবে বুধবার দুপুরের পর থেকে আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বাড়বে। ফলে রাতের তাপমাত্রা আবারও বাড়তে পারে। তবে চলতি সপ্তাহে কলকাতায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।