সংবাদদাতা, কালনা: রাত পোহালেই রাস উৎসব। নবদ্বীপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎসবে আনন্দে মেতেছে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের শ্রীরামপুর, জাহান্ননগর, বিদ্যানগর, সমুদ্রগড়ের বাসিন্দারা। শুধু এলাকার বাসিন্দারা নয় বাইরে থেকেও অনেকে আসবেন বলে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি। মণ্ডপের উদ্বোধন শুরু হয়েছে। সোমবার রাতে পূর্বস্থলী-১ কেন্দ্রীয় রাস উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে পুজো উদ্বোধনে হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পুলিস সুপার সায়ক দাস, জেলাশাসক আয়েশা রানি এ সহ বিশিষ্টরা।
সোমবার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। অনেকে মনে করেন নবদ্বীপের রাস উৎসবের সমসাময়িক পূর্বস্থলী-১ ব্লকের রাস উৎসব। নবদ্বীপের সঙ্গে টক্কর দিতে সুদৃশ্য মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোয় সেজে উঠেছে এলাকা। রাতের গ্রামীণ বলয় অলোর স্বপ্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়বে। নাদনঘাট থানার পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে। এসটিকেকে রোড সংলগ্ন হওয়ায় রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে ১২২টি রাস পুজো হচ্ছে। মণ্ডপে দর্শকের ঢল নামবে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি।
সোমবার দক্ষিণ শ্রীরামপুরের কিশোর স্টাফের গঙ্গামাতা পুজোর উদ্বোধন হয়। পাশাপাশি উৎসবের সূচনা করেন বিশিষ্টরা। দক্ষিণ শ্রীরামপুর বারোয়ারি, শ্রীরামপুরের ঘোষপাড়ার অন্নপূর্ণাদেবী, শ্রীরামপুর মোড় ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের রণচণ্ডীমাতা সহ বিভিন্ন পুজোয় ভিড় উপচে পড়বে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি। মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, নবদ্বীপের মতো পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বিভিন্ন জায়গা বৈষ্ণব ধর্মাম্বলীদের কাছে সমান গুরুত্বপুর্ণ। এখানে বিদ্যানগর গ্রামের গঙ্গানন্দপুরে বাসুদেব সার্বভৌম পণ্ডিতের টোল, চৈতন্যদেবের ভিক্ষানগরী মাগনপুর সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে। এখন পূর্বস্থলী-১ ব্লকের রাস উৎসবের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। যা নবদ্বীপের সঙ্গে কোনও অংশে কম যায় না। সরকারি প্রকল্প সহ সামাজিক সচেতনতার সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ডেঙ্গু সচেতনতা, জল অপচয় প্রভৃতি বিষয় ব্যানার-ফেস্টুন সহ পুজো কমিটিগুলিকে প্রচারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।। পুলিসের অনুমতিপ্রাপ্ত ১০১টি পুজো কমিটিকে কেন্দ্রীয় রাস উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। নিজস্ব চিত্র