প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অনলাইনে পূরণ করা যাচ্ছে না এনুমারেশন ফর্ম
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআরের এনুমারেশ ফর্ম বিলি। সকাল থেকেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন বিএলও-রা। সাধারণ মানুষকে ফর্মের বিষয়ে বোঝানোর পাশাপাশি ফর্ম পূরণ করতে সাহায্য করছেন তারা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআর ঘোষণার সময় জানিয়েছিলেন, অনলাইনেও ফর্ম পূরণ করা যাবে। পরিযায়ী এবং প্রবাসী নাগরিকদের কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা করার দাবি। তবে মঙ্গলবার এনুমারেশন ফর্ম বিলির দিন উল্টো চিত্র ধরা পড়ল। ফর্ম বণ্টনের প্রথম দিনই অনলাইন পরিষেবা চালু হল না।
প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করেছে কমিশন। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দু-একদিনের মধ্যেই অনলাইনে ফর্ম পাওয়া যাবে। তবে নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষণ জানায়নি কমিশন। অনলাইন প্রক্রিয়াটি বাড়তি সুবিধা বলে জানিয়েছে কমিশন। তাই আপাতত এটি না করা গেলেও এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা হবে না বা বড় প্রভাব পড়বে না দাবি কমিশনের।
আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বিএলও-দের এই কাজ। রাজ্যজুড়ে মোট ৮০ হাজার ৬৮১ জন বিএলও মাঠে নেমেছেন। সঙ্গে রয়েছেন অতিরিক্ত ১৪ হাজার কর্মী। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে ভোটারদের হাতে পৌঁছবে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষের বেশি এনুমারেশন ফর্ম। যার দ্বিগুণ সংখ্যায় ফর্ম ছাপানো হয়েছে।
এসআইআর অনুযায়ী এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে সব ভোটারদের। তারপর তা ২০০২ সাল বা এ রাজ্যের সর্বশেষ এসআইআর হওয়া ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে এই ফর্ম অনলাইনে পূরণ করা যাবে। এই কথা জানিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যা হওয়ায় এদিন ওয়েবসাইটে ঢোকা যাচ্ছে না।
এভাবে অনলাইনের কাজ পিছিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে ভোটারদের একাংশ। যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায়ও দাঁড় করিয়েছে শাসকদল। আগামী বছর বাংলার নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এসআইআর বলে দাবি অনেকের। আর এখন অনলাইনে এসআইআরের কাজ হোঁচট খাওয়ায় তৃণমূলের অভিযোগ কিছুটা হলেও মান্যতা পাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।