• ‘আমি আছি, বিজেপির চক্রান্তে ভুল সিদ্ধান্তে নেবেন না’, রাজ্যবাসীর কাছে আর্জি মমতা
    প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে SIR-এর প্রক্রিয়া। আজ, মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শুরু করেছেন বিএলও-রা। এরইমাঝে  এদিন কলকাতার বুকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্মতলায়  আম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে জোঁড়াসাকো পর্যন্ত এই মিছিলে পা মেলালেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিমুহূর্তের আপডেট সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর লাইভে।

    বিকেল ০৫.৩০: মমতা বললেন, ‘এত কিছুর পরও যদি নাম বাদ যায়। ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় তাহলে একটা গান বেঁধে দেব, ধাক্কা-ধাক্কা-ধাক্কা।’ মঞ্চ থেকে মতুয়াদের ঢাক বাজাতে বলে স্লোগান তুললেন মমতা। বললেন, ‘নিজেকে বাঁচান, বিজেপি হটান।’ 

    বিকেল ০৫.২৮: ‘এনআরসি হতে দেব না। কী করবে? আমার রক্ত নেবে? কবে নেবে বলো?’, ফুঁসে উঠলেন মমতা। বললেন, কোনও এজেন্সি দেখে ভয় পাবেন না।

    বিকেল ০৫.২০: ‘নোটবন্দির পর জনবন্দি-গণবন্দি করছে’, বিজেপিকে তুলোধোনা মমতার। আতঙ্কগ্রস্ত রাজ্যবাসীকে তাঁর বার্তা, ‘বিজেপির চক্রান্তে নিজের প্রাণ দেবেন না। প্রাণ অমূল্য সম্পদ। চরম সিদ্ধান্ত নেবেন না।’ 

    বিকেল ০৫.১১:  ‘আমাদের পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দেয়, আর নিজের ছেলেকে সব থেকে বড় পোস্ট!’ অমিত শাহকে আক্রমণ মমতার।

    বিকেল ০৫.১০:  নাম না করে জ্ঞানেশ কুমারকে তোপ মমতার। বললেন, ‘কুর্সিবাবুকে প্রশ্ন, বাংলায় রোহিঙ্গা যদি আসে, কোথা থেকে আসে? নাগাল্য়ান্ড, ত্রিপুরা, অসমে এসআইআর হল না কেন? এখানে পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি এসব কেন? পাঠানো হল ওড়িশার একজনকে। ওদের তো পুজো নেই। আমাদের পুজো রিয়েল।’

    বিকেল ০৫.০২:  মমতা বললেন, ‘জনগণ ভুল করলে নাম বাদ, বাবা-মার নাম না থাকলে আবার জন্মে প্রমাণ করতে হবে আমি বাংলার নাগরিক। কমিশন যে একাধিক গন্ডগোল করছে তালিকায়, তার বেলা? শাস্তি কে দেবে? ভোটের পর করলে কী সমস্যা হত?’

    বিকেল ০৪.৫৭: ‘৭ বার সাংসদ, ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী, ৪ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর প্রমাণ দিতে হবে আমি বাংলাদেশি নই’, প্রশ্ন তুললেন মমতা।  ২ কোটি ভোটারের নাম কাটার চক্রান্ত চলছে, এমনই অভিযোগ তুলে ফুঁসে উঠলেন তিনি। 

    বিকেল ০৪.৫৬: মমতা সাফ জানালেন, “অফিশিয়াল বিএলও-দেরই তথ্য দিন, সবাইকে দেবেন না। আপনি ধরুন বাড়িতে নেই। তখন কি নাম বাদ যাবে? না, আমরা তাই তৃণমূল হেল্পডেস্ক করে দিয়েছি। ওরা সাহায্য করবে।” আধার কার্ডের সঙ্গে আর কোন কোন নথি গ্রহণযোগ্য এদিন তা বুঝিয়ে বললেন মমতা।

    বিকেল ০৪.৫৫: ডায়মন্ড হারবারে পিএনবির নাম করে বিজেপি ডেটা জোগাড় করছে বলেও দাবি মমতার। 

    বিকেল ০৪.৫৪:  বলছে বাংলাদেশিকে হটাবে, রোহিঙ্গা বের করে দেবে। বিহার কটা রোহিঙ্গা পেলেন? বিজেপিকে প্রশ্ন মমতার।

    বিকেল ০৪.৫৩: ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বাংলায় শেষ এসআইআর হয়েছিল। তারপর ২ বছর ভোট ছিল না। আজকে হঠাৎ কেন মোদি বাবু আর অমিত শাহকে খুশি করতে কুর্সিবাবু ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন! একটা নাম বাদ গেলে সরকার ভেঙে চুরমার করার হুঁশিয়ারি মমতার।

    বিকেল ০৪.৪০: ‘করতে লুট, বোলতে ঝুট’, বিজেপিকে নিশানা মমতার। বললেন, ‘নোট বাতিলের বিরোধিতা করেছিলাম। তাও বাতিল তো হয়েছে। কিন্তু লাভ কী হয়েছে? মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু ওরা ক্ষমাও চায়নি। নির্লজ্জ সরকার।’

    বিকেল ০৪.৩৯: হাজার টাকা দিয়ে আধার কার্ড তৈরি করিয়েছ, কিন্তু বলছ নাগরিকত্বের প্রতীক নয়! কেন্দ্রকে তুলোধোনা মমতার।

    বিকেল ০৪.৩৮: ‘জোটে জিতবে, ঘোঁটে জিতবে কিন্তু ওরা ভোটে জিতবে না। ওদের কত বাবু, বড় বাবু, ছোটো বাবু…আমি চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু দালালিরও একটা সীমা থাকে। অত্যাচারের সব সীমা তো আপনারা পার করে ফেলেছেন।’, নাম না করে শুভেন্দু-শাহকে তোপ মমতার।  ম্যাপিংয়ে বহু ভোটারের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি।

    বিকেল ০৪.৩৪: ‘জমিদার বললে কম হবে, ওরা লুটেরা। ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। মানুষকে চোর বলে। মনে রাখবে সবসময় তোমরা ক্ষমতা থাকবে না’, বললেন মমতা।  

    বিকেল ০৪.৩০: মমতা বললেন, ‘মনে রাখবেন বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয় না। উর্দু বললেই সে পাকিস্তানি না। যে যেখানে কাজ করতে যাচ্ছে সবাইকে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। এই মূর্খ, অর্ধশিক্ষিতদের মাথায় কিছু ছিল না…স্বাধীনতার ইতিহাস এরা জানে না। স্বাধীনতার সময় এরা কোথায় ছিল? আগে তো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত কিন্তু একই ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যার যেখানে যাওয়ার গিয়েছে।’  

    বিকেল ০৪.২৭:  ধর্মগুরুদের সম্মান, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়াদের প্রণাম জানালেন তিনি। অজস্র মানুষ মিছিলে হেঁটেছেন। অনেকে ঢুকতে পারেননি। সকলকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করলেন মমতা।  

    বিকেল ০৪.২২: ‘মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছিলেন এনআরসি করতে দেবেন না বলেছিলেন, ওরা পারেনি। আপনাদের বলছি, এসআইআর নিয়ে ভয় পাবেন না। তৃণমূলের সৈনিকরা রাস্তায় আছে। যে কোনও সমস্যা পাশে পাবেন।’, বললেন অভিষেক। 

    বিকেল ০৪.২০:  ‘আগামীর লড়াই বিজেপিকে শূন্য করার লড়াই’, হুংকার অভিষেকের।

    বিকেল ০৪.১৯: মতুয়া, রাজবংশীরা এদের ফাঁদে পা দেবেন না। অসমে হিন্দুদের যা হয়েছে। আপনাদেরও সেই পরিণতি করবে। কোনও মতুয়াকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে দেব না, সাফ বললেন অভিষেক। ৮০০ টাকায় মতুয়া মহাসংঘের কার্ড আসলে আইওয়াশ, দাবি অভিষেকের। 

    বিকেল ০৪.১৭: যাকে খুশি পুশব্যাক করে দিচ্ছে, সোনালি বিবি প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের। আমজনতার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ 

    বিকেল ০৪.১৬:  সেদিন ২১ জুলাই প্রাণ দিয়েছিল মানুষ। তারপর থেকে যারা ভোট দিয়েছে, তারা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আন্দোলনের কথা মনে করেছেন। আমরা বলেছিলাম, একশো দিনের টাকা দিল্লিতে গিয়ে কেড়ে আনব নাহলে নিজেরা ব্যবস্থা করব। আমাদের কৃষিভবন থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হয়েছিল। তোমরা ভাবো, হাতে ক্ষমতা আছে যা খুশি তাই করব। ইডি, সিবিআই, আয়কর, কমিশন, প্যারামিলিটারি ফোর্স নিজেদের মতো করে ব্য়বহার করেছে। কিন্তু একশো দিনের টাকা ছিনিয়ে এনেছি। এসআইআর ভয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে সকলের ভোটার লিস্টে নাম ছিল। যখন তখন যাকে খুশি বাংলাদেশি বলে বের করে দিচ্ছে। এটা চলতে পারে না’, বললেন মমতা।

    বিকেল ০৪.০৬: মঞ্চে উঠেই মতুয়াদের সামনে ডেকে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, অন্য়রা নয়, শুধু মতুয়ারাই সামনে আসবে। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি মতুয়াদের পাশে আছেন। স্থানীয় নেতা-কাউন্সিলরদের ধমকও দিলেন দলনেত্রী। বললেন, “আপনারা সামনে কেন? পিছনে পরিস্থিতি সামাল দিন।”

    বিকেল ৪.০১: এসআইআর ‘আতঙ্কে’ মৃতদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে জোড়াসাঁকোর প্রতিবাদ মঞ্চে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    দুপুর ০৩.১০: পতাকা হাতে মিছিলে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। হাতে বিজেপি বিরোধী পোস্টার। এদিকে রাস্তার দু’পাশে মমতা ও অভিষেকের অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ। 

    দুপুর ০২.৫৫: প্রতিবাদ মিছিলে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক, সাংসদের পাশাপাশি রয়েছেন টেলি তারকারা। রয়েছেন মধুবনী গোস্বামী, বিভান ঘোষ, মিষ্টি সিং, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলন রায়, রূপাঞ্জনা মিত্র, প্রিয়া পাল-সহ অন্যান্যরা।

    দুপুর ০২.৫০: তৃণমূলের এসআইআর মিছিল থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা।  শামিল হয়েছেন সব ধর্মের ধর্মগুরুরা। রয়েছেন মতুয়ারাও।
  • Link to this news (প্রতিদিন)