• তৃণমূলের মেগা মিছিলে SIR ‘আতঙ্কে’ মৃতদের পরিজনরাও! কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস অভিষেকের
    প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আতঙ্ক উদ্বেগের মধ্যেই আজ মঙ্গলবার থেকে বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বিএলওরা। এর মধ্যেই এদিন পথে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে মিছিল শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী। মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত। একদিকে মিছিলে শামিল হয়েছেন সব ধর্মের প্রতিনিধিরা, অন্যদিকে এসআইআর ‘আতঙ্কে’ মৃতদের পরিজনরাও এদিনের মিছিলে রয়েছেন। 

    আছেন টিটাগড়ে মৃত কাকলি সরকারের পরিবার, ইলামবাজারে মৃত ক্ষিতীশ মজুমদারের পরিবার, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা মৃত সিরাজের পরিবার-সহ আরও অনেকে। জানা যাচ্ছে, মিছিল শুরু হওয়ার আগে এদিন সমস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলে গোটা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।

    বলে রাখা প্রয়োজন, গত সোমবার বাংলায় এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই রাজ্যবাসীর মনে হাজার প্রশ্নের ভিড়। আতঙ্ক রয়েছেই। আতঙ্ক এবং উদ্বেগের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা প্রদীপ কর। অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।  

    যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।  তার মধ্যেই গায়ে আগুন দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হন বারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা  কাকলি সরকার। এক্ষেত্রেও পরিবারের অভিযোগ,  এনআরসি ও এসআইআর আতঙ্কেই এহেন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন কাকলি। এই তালিকায় রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা সিরাজও। জানা যাচ্ছে, নথিতে বাবার নামের বানান ভুল থাকায় আতঙ্কে ভুগছিলেন বৃদ্ধ। তাতেই আচমকা বুকে ব্যথা। চিকিৎসা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। এছাড়াও দিনহাটা-সহ ডানকুনিতে এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ শাসকদলের। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)