‘ভোটের পর কেন SIR হল না?’ ‘মোদি-মীরজাফর-কুর্সিবাবু’দের একযোগে তোপ মমতার
প্রতিদিন | ০৪ নভেম্বর ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভোটের তিনমাস আগে কেন ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ কেন? কেন ভোট হয়ে যাওয়ার পর এসআইআর হচ্ছে? কেন এই তালিকা থেকে অসম বাদ? এমনই সব প্রশ্ন তুলে এসআইআর বিরোধী ভাষণের সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি নিশানা করলেন ‘মোদিবাবু’, ‘মীরজাফর’, ‘কুর্সিবাবু’দের অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে। তাঁর উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্লেষ, ”মোদিবাবুদের খুশি করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।” প্রশ্ন তুললেন, বাংলায় রোহিঙ্গারা আসছেন কোথা থেকে?
মঙ্গলবার ধর্মতলায় আম্বেদকর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে মিছিল শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে শামিল হয়েছেন দলের নেতা, কর্মী, সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর ছাড়াও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, একঝাঁক সেলিব্রিটি। সংবিধানের কপি হাতে নিয়েই প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটেন মমতা-অভিষেক। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ মঞ্চে যোগ দেন তাঁরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে জ্ঞানেশ কুমারকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কুর্সিবাবুকে প্রশ্ন, বাংলায় যদি রোহিঙ্গা আসে, তারা কোথা থেকে আসে? নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, অসমে এসআইআর হল না কেন? শুধু বাংলায় ভোটের আগে এসআইআর কেন?”
২০০১ সালের নির্বাচনের পর বাংলায় শেষবারের এসআইআর হয়েছিল। তারপর ২ বছর ভোট ছিল না। আজকে হঠাৎ কেন মোদি বাবু আর অমিত শাহকে খুশি করতে কুর্সিবাবু ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন! একটা নাম বাদ গেলে সরকার ভেঙে চুরমার করার হুঁশিয়ারি মমতার। তাঁর কথায়, ‘‘জনগণ ভুল করলে নাম বাদ দিচ্ছে। বাবা-মায়ের নাম না থাকলে কি আবার জন্মে প্রমাণ করতে হবে আমি বাংলার নাগরিক? কমিশন যে একাধিক গণ্ডগোল করছে তালিকায়, তার বেলা? শাস্তি কে দেবে? ভোটের পর করলে এসআইআর করলে কী সমস্যা হত? তা নয়। ওদের কত বাবু, বড় বাবু, ছোটো বাবু…আমি চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু দালালিরও একটা সীমা থাকে। অত্যাচারের সব সীমা তো আপনারা পার করে ফেলেছেন।’’