• প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত মুসলিমদের দ্বিতীয় বিয়েকে বৈধতা নয়! সিদ্ধান্ত কেরল হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মুসলিমদের বহু বিবাহ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় কেরল হাই কোর্টের। আদালত বলছে, প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে মুসলিম পুরুষের দ্বিতীয় বিয়েকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। কেরলের বিবাহ রেজিস্টার আইনে মুসলিম পুরুষের দ্বিতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হলে প্রথম স্ত্রী-কে জানাতে হবে। তিনি ওই বিয়েতে রাজি কিনা শুনতে হবে।

    কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি পি ভি কুন্নিকৃষ্ণণ বলছেন, মুসলিম পার্সোনাল ল’ হয়তো মুসলিম পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়, কিন্তু সেটা অবশ্যই প্রথম স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ। কেউ প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহিত অবস্থায় থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে, সেটা প্রথম স্ত্রীর মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আর কোনও পার্সোনাল ল’ কাজ করে না। তখন এই দেশের আইন সবাইকে মানতে হবে। এক্ষেত্রে ধর্মটা গৌণ। সাংবাদিক অধিকারই সর্বোপরি।

    দ্বিতীয় বিবাহ রেজিস্ট্রির একটি মামলায় কেরল হাই কোর্টের বিচারপতির বক্তব্য, “আমি মনে করি না পবিত্র কোরান শরিফ বা মুসলিম আইন পরকীয়াকে সমর্থন করে। প্রথম বিয়ে চলাকালীন, বা প্রথম স্ত্রীর উপস্থিতিতে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন বা বিয়ে করা আসলে পরকীয়া। সেটাও যদি প্রথম স্ত্রী-কে না জানিয়ে হয়।” বিচারপতি একই সঙ্গে বলছেন, “আমি নিশ্চিত ৯৯.৯৯ শতাংশ স্ত্রী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দেবেন না।”

    এই প্রথম নয়, কেরল হাই কোর্ট মুসলিম বিয়ে নিয়ে আগেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, কোরান যতই মুসলিমদের একের বেশি বিয়ের অনুমতি দিক, আদালতে সেটা সবসময় গ্রহণযোগ্য নয়। একাধিক স্ত্রীর ভরণপোষণের সামর্থ্য না থাকলে মুসলিম পুরুষও একধিক বিয়ে করতে পারেন না। কেরল হাই কোর্ট বলছে, কোরানও বহুগামিতা সমর্থন করে না। কোরানে বলা আছে, একজন মুসলিম তখনই একাধিক বিয়ে করবেন যখন তিনি প্রথম স্ত্রী, দ্বিতীয় স্ত্রী, তৃতীয় স্ত্রী এবং চতুর্থ স্ত্রী, সবাইকে সমানভাবে সুবিচার দিতে পারবেন। তাছাড়া মুসলিম সমাজের বেশিরভাগ মানুষই একটা মাত্র বিয়ে করেন। তাই সামর্থ্য না থাকলে মুসলিমরাও একাধিক বিয়ে করতে পারেন না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)