শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বাংলায় ফের ‘এসআইআর আতঙ্কে’ আত্মহত্যা! চাষের কাজ করতে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ হলেন এক কৃষক! মৃতের নাম মহুল শেখ। মৃতের পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিনি আতঙ্কে ভুগছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রসঙ্গত, আজ, মঙ্গলবার থেকেই বিএলওরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফর্ম নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। এদিকে এসআইআরের প্রতিবাদে এদিন কলকাতার রাজপথে মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের নেতৃত্ব। সাধারণ মানুষজন মিছিলে শামিল হয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভার ১২ ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন মহুল শেখ। এদিন সকালে তিনি চাষের কাজ করতে জমিতে গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, চাষের কাজ করার সময়ই কীটনাশক খেয়েছিলেন তিনি! কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। বিষয়টি দেখে জমিতে কাজ করা অন্যান্য কৃষকরা ছুটে যান তাঁর কাছে। দ্রুত তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোকজনকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতাল থেকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
খবর যায় কান্দি থানায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কান্দি থানার পুলিশ কথা বলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় শোকের ছায়া ওই পরিবারে। এলাকাতেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই এসআইআর আতঙ্কে প্রাণ গিয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার খলিসানির বাসিন্দা বছর তিরিশের এক যুবকের। মৃতের নাম জাহির মাল। ওই যুবকের বয়স ৩০ বছর। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন। সূত্রের খবর, নথিতে নামের বানান ভুল থাকায় আতঙ্কে ভুগছিলেন যুবক। মঙ্গলবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।