• সবাই বিএলও, স্কুল সামলাবে কে? গাইঘাটায় ৩ শিক্ষকে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
    প্রতিদিন | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: প্রাইমারি স্কুলে তিনজন শিক্ষক! প্রত্যেকেই পেয়েছেন বিএলওর দায়িত্ব। তাঁরা এসআইআরের ডিউটি গেলে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠান বন্ধ হয়ে যাবে। এই অভিযোগ তুলে স্কুলের অফিস ঘরে তাঁদের দেড় ঘণ্টা তালাবন্ধ করে রাখলেন অভিভাবকরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটায়। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    গাইঘাটার চণ্ডীগড় স্পেশাল ক্যাডার অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলের তিন শিক্ষক বিএলও হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে এসআইআর ডিউটিতে চলে গেলে শিশুদের পড়াশোনায় ব্যাঘত ঘটবে। এই কারণে দেখিয়েই মঙ্গলবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলেই জানান অভিভাবকরা। ফলে খবর পেয়ে গাইঘাটা ব্লকের জয়েন্ট বিডিও এবং পুলিশ এসে স্কুলের পড়াশুনো সচল রাখার আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেন অভিভাবকরা।

    বিক্ষুব্ধ অভিভাবক বাসুদেব বৈরাগী বলেন, “শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কিছুদিন আগে আমরা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দরবার করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। উলটে তিনজন শিক্ষককে বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেরিয়ে গেলে স্কুলের পড়াশুনো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমরা তিনজন শিক্ষককে ঘরে তালাবন্ধ করে দিয়েছি। আমরা চাই, স্কুলের পড়াশুনো স্বাভাবিক থাকুক।” এক পড়ুয়ার বাবা মনোজকুমার মণ্ডল বলেন, “আমাদের পক্ষে ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট টিউশন দেওয়া সম্ভব নয়। স্কুলের পড়াশোনাই আমাদের একমাত্র ভরসা।” গাইঘাটা ব্লকের জয়েন্ট বিডিও ময়ুখ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলে পড়ানো ও বিএলওর কাজ, দুটোই প্রয়োজন। এনিয়ে জেলা স্তরে জানাব। স্কুলের পরে ওই শিক্ষকরা এসআইআরের জন্য কাজ করবেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)