• জেডিইউ বিধায়কদের নিয়ে একরাশ ক্ষোভ নালন্দায়! পাঁচিল হয়ে দাঁড়িয়ে নীতীশ
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নালন্দা: একরাশ ক্ষোভের মুখে যেন পাঁচিল হয়ে দাঁড়িয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার! গোটা নালন্দা জেলাজুড়ে একই দৃশ্য। বিধায়ক বদলের জন্য মুখিয়ে জনতা। তবে তা নীতীশের বিরুদ্ধাচারণ করে নয়। হারনৌত আসনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন নীতীশ। তারপর থেকেই এই আসন জেডিইউর শক্ত ঘাঁটি। এবারও এই আসনে দলের প্রার্থী  হরি নারায়ণ সিং। এই বিধানসভা এলাকাতেই নীতীশের গ্রাম কল্যাণ বিগহা। এবার জিতলে ১৩ বারের বিধায়ক হয়ে রেকর্ড গড়বেন হরি নারায়ণ। কিন্তু মানুষের ক্ষোভ রয়েছে যে! ‘উও ইহা নেহি আতে হ্যায়। সব জাগাহ উনকা এজেন্ট কাম করতা হ্যায়। হাম নীতীশকো ভোট দেতে হ্যায়।’ হারনৌত বাজারে দাঁড়িয়ে বুক ঠুকে জানালেন স্থানীয় জিতেন কুমার। তবে বাজারের গুঞ্জনে হারাচ্ছে না জানকী দেবীদের কথাও। তিনি বললেন, ‘প্রার্থী বদলের জন্য আমরা নীতীশ কুমারের কাছে দরবারও করেছিলাম। কিন্তু হরি বাবুকেই আবার প্রার্থী করা হল।’ এলাকার জেডিইউ নেতৃত্বও হরি নারায়ণের কাজকর্মে খুশি নয়। কিন্তু তাঁকেই ফের প্রার্থী করেছেন নীতীশ। 

    পাশের বিধানসভা হিলসাতেও একই অবস্থা। বিদায়ী বিধায়ক কৃষ্ণ মুরারি সরনকে ওরফে প্রেম মুখিয়াকে ফের টিকিট দিয়েছে জেডিইউ। মাত্র ১২ ভোটে গতবার জিতেছিলেন তিনি। হিলসার লাখাচক গ্রামের জিতেন রাম তো বলেই দিলেন, ‘প্রেম মুখিয়াকে আর কেউ ভোট দেবে না।’ ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার মোট সাতটির মধ্যে পাঁচটি আসনই দখল করেছিল জেডিইউ।  

    কিন্তু এমন শক্ত ঘাঁটিতেও প্রায় সব আসনেই বিধায়কদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মানুষ। এই তালিকায় রয়েছেন নালন্দা আসনের প্রার্থী তথা বিহারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সারওয়ান কুমারও। এখানকার ভোটার লাল কুমার মিশ্র বললেন, নীতীশজির সমর্থন না থাকলে সারওয়ান পঞ্চায়েত ভোটেও জিততে পারবেন না। কিন্তু এত সব কিছু জানার পরও নালন্দা জেলায় দলের বর্তমান বিধায়কদেরই টিকিট দিয়েছেন নীতীশ। কারণ, সমস্ত ক্ষোভের মাঝে পাঁচিল হয়ে ওঠার ক্ষমতা তাঁর এখনও অটুট। তাঁকে অস্বীকার করার ক্ষমতা নালন্দার মানুষের নেই। একথা যে বিলক্ষণ জানেন নীতীশ।
  • Link to this news (বর্তমান)