• ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ফর্ম বিলি শুরু, এসআইআর-বিরোধিতা ডিএমকে’র
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই মঙ্গলবার থেকে দেশের আরও ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) শুরু হল। তামিলনাড়ু, রাজস্থান, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কেরল, গুজরাত, ছত্তিশগড়, গোয়া এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা যাচাই করছেন বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও)। বাংলার পাশাপাশি আগামী বছরে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরলেও বিধানসভা নির্বাচন। তাই ওই রাজ্যগুলিতেও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে তত্পর রাজনৈতিক দলগুলিও। তামিলনাড়ুতে এসআইআর নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়েছে শাসক দল ডিএমকে। তাদের অভিযোগ, এসআইআরের আড়ালে আদতে দেশজুড়ে এনআরসি চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। ফলে এই প্রক্রিয়ার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। যদিও পালটা এসআইআরের সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গী এআইএডিএমকে।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে এসআইআর প্রক্রিয়ায় স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে সরব হয়েছে আরএসএসের শিক্ষক সংগঠন অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ (এবিআরএসএম)। সংগঠনটির দাবি, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বিএলওর দায়িত্ব সমস্ত সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ গুজরাতের বিএলওদের মধ্যে ৯০ শতাংশই স্কুল শিক্ষক। এই ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক বলেও অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। এছাড়া এসআইআর প্রক্রিয়ায় দেরি বা অংশ না নিলে বিএলওদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে গুজরাত সরকার। এভাবে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি স্কুল শিক্ষকদের পক্ষে অপমানজনক বলেও দাবি করেছে এবিআরএসএম। এই ‘ঔপনিবেশিক’ ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্য গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে চিঠি লিখেছে সংঘের অধীনস্ত শিক্ষক সংগঠনটি।
  • Link to this news (বর্তমান)