• ইংল্যান্ড থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ, আমেরিকান সেন্টারের ছবি তুলে গ্রেফতার বাংলাদেশি
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আমেরিকান সেন্টারের সামনে ছবি তুলতে এসে যুবক আটক হতেই বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছবি তোলা তার শখ। তার আড়ালে শেয়ারে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে লোক ঠকানোর কারবার করে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেয় জালিয়াতির টাকা ঢোকানোর জন্য। তার নিজের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে বিপুল পরিমাণ টাকা। এমনকী বাংলাদেশি এই নাগরিক ভারতে বেআইনিভাবে আসার পর জাল নথি তৈরি করে বারাসতে থাকছিল। এরপরই অভিযুক্ত মৃন্ময় মণ্ডলকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়র সরণি থানা।

     সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ আমেরিকান সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল এক যুবক। সেখানকার কর্মীরা সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি দেখতে পেয়েই পুলিশকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। তার পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ। আধার থেকে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, তার নাম মৃন্ময় মণ্ডল। বারাসতের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। ছবি তোলার কারণ জানতে চাইল ওই যুবক জানায়, সে পেশায় ফটোগ্রাফার। এই এলাকায় ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা জানত না। খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত বেশ কয়েকবছর আগে অবৈধভাবে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে এদেশে এসেছিল। দালালের মাধ্যমে জাল ভারতীয় নথি তৈরি করে থাকতে শুরু করে। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যায় ইংল্যান্ড থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা ঢুকেছে। আরও বেশকিছু অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য পান অফিসাররা। কী কারণে এই টাকা এল, তা নিয়ে জেরায় বিভিন্নরকম কথাবার্তা বলতে থাকে সে। তদন্তে উঠে আসে, এমন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আদানপ্রদান হয়েছে যেটি সাইবার জালিয়াতিতে ব্যবহৃত হয়েছে। এখান থেকেই তদন্ত নতুন মোড় নেয়। অভিযুক্ত যুবককে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সে শেয়ারে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। কেউ টোপ গিললেই তাকে গ্রুপে অ্যাড করে। তারপর শুরু করে টাকা নেওয়ার খেলা। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সে ভাড়ায় নিত। পরে ঘুরিয়ে তা নিজের অ্যাকাউন্টে ঢোকাত। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ২০২৪ সালর অক্টোবরে শেয়ারে বিনিয়োগের টোপে প্রতারণার ঘটনার তদন্ত করছে শেক্সপিয়র সরণি থানা। ওই ঘটনায় ১০ জন গ্রেফতার হলেও মৃন্ময় ফেরার ছিল।
  • Link to this news (বর্তমান)