• গাড়ির ভিতরে জমা জলে ভাসছে ডেঙ্গু মশার লার্ভা, যাদবপুরের অভিজাত আবাসনে অভিযানে গিয়ে পুরকর্মীদের চোখ কপালে
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের যাদবপুরে একটি বহুতল আবাসনে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া রোধে সাফাই অভিযানে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা। আবাসনের বেসমেন্টে রাখা গাড়িগুলির দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ স্বাস্থ্যকর্মীদের। একাধিক গাড়ির ভিতরের অংশ জলে ভর্তি। ভাসছে ডেঙ্গুর মশার লার্ভা। তা নষ্ট করতে লার্ভানাশক স্প্রে করেন পুরকর্মীরা। গাড়িগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। জল নেমে যাওয়ার পর সেগুলি সাফ ও মেরামত করা হয়নি। দরজা পর্যন্ত খোলেননি মালিকরা। ফলে তার মধ্যে নিশ্চিন্তে বাসা করেছে ডেঙ্গুর এডিস মশা। বাড়িতে জল যাতে না জমে তা নিয়ে বারবার প্রচার চালাচ্ছে পুরসভা। সেখানে এমন একটি অভিজাত আবাসনেই এই পরিস্থিতি! বিষয়টি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে পুরকর্মীদের।

    যাদবপুরের রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডে ওই অভিজাত আবাসন কমপ্লেক্সটি রয়েছে। সোমবার সেখানে অভিযানে চালায় পুরসভার পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে কর্মরত ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের কর্মীরা। এটি রেগুলার ভিজিটের মধ্যেই পড়ে। বেসমেন্টে গিয়ে দেখেন একাধিক গাড়ি দাঁড় করানো রয়েছে। যার মধ্যে ছ’টি গাড়িতে ধুলো পড়েছে। আবাসনের নিরাপত্তাকর্মীর থেকে পুরকর্মীরা জানতে পারেন, পুজোর আগে বিপুল বৃষ্টিতে সারা কলকাতা যেদিন জলমগ্ন হয়ে পড়ে তখন আবাসনের বেসমেন্ট জলে ভরে গিয়েছিল। সেখানে থাকা গাড়িগুলি জলের তলায় ডুবে যায়। তারপর জল বেরিয়ে গেলেও অনেক গাড়ির ইঞ্জিনে জল ঢুকে যাওয়ায় তা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই ছিল এই ছ’টি গাড়ি। সেগুলি এখনও মেরামত করাননি মালিকরা। গাড়িগুলি ধুলোয় মোড়া দেখে খোলার উদ্যোগ নেন পুরকর্মীরা। এক-একটি গাড়ির দরজা খুলতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। দেখা যায়, সিটে, লেগ স্পেসে ভর্তি জল। সেখানে ছোট ছোট ডেঙ্গু মশার লার্ভা কিলবিল করছে। মশার লার্ভানাশক স্প্রে করেন পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, পাড়ায় পাড়ায় প্রচার হচ্ছে। তবুও মানুষের একাংশ সচেতন নন। ছ’টি গাড়ি ওই অবস্থায় বেসমেন্টে পড়েছিল। মশার বাড়বৃদ্ধি হলে এই আবাসনের আশপাশ এলাকায় ডেঙ্গু ছড়াত। গাড়ি জলের তলায় ছিল। জল নেমে যাওয়ার পর সেগুলি খুলে সাফ করলে মশার লার্ভার জন্ম হত না।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)