• সাম্মানিকের সঙ্গে উৎসাহ ভাতা বাবদ ১২ হাজার টাকা পাবেন বিএলও-রা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • এসআইআরের কাজের জন্য খরচ হচ্ছে মোবাইল ডেটা ও ব্যবহার করতে হচ্ছে নিজের ফোন। এসআইআর শুরুর আগে থেকেই এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএলও-দের একাংশ। বিএলও-দের অসন্তোষের জেরে কমিশন সূত্রে খবর, সাম্মানিক ভাতার পাশাপাশি বিএলও-দের দেওয়া হবে উৎসাহ ভাতা। প্রতিবছর বিএলও-রা সাম্মানিক হিসেবে ৬ হাজার টাকা পেতেন।

    এসআইআরের গুরুত্ব বাড়ায় এবার তার সঙ্গে উৎসাহ ভাতা বাবদ দেওয়া হবে আরও ৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ মোট ১২ হাজার টাকা করে পাবেন বিএলও-রা। নবান্ন সূত্রে খবর, এর জন্য ইতিমধ্যে সিইও দপ্তরের তরফে রাজ্য অর্থ দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


    এসআইআরের কাজ নিয়ে কলকাতায় একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে এই ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিএলও-দের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এসআইআরের সময়ে ভোটারদের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। এর জন্য তাঁদের মোবাইলের ডেটা খরচ হচ্ছে।

    অনেক বিএলও-র অভিযোগ, তাঁদের কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। এই কাজের জন্য তাঁদের স্মার্ট ফোন কিনতে হয়েছে। আর তা কিনতে গেলে সাম্মানিকের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ডেটা কিনতে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিএলও-রা। এরই মধ্যে কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়, সাম্মানিক ভাতার পাশাপাশি বিএলও-দের দেওয়া হবে উৎসাহ ভাতা। আগে ভোটের সময় বিএলও-রা পেতেন ৬ হাজার টাকা। এখন আরও ৬ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই ছ’হাজার টাকার মধ্যে এক হাজার টাকা মোবাইল ও ডেটা খরচের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

    বাকি পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে অন্যান্য খরচের জন্য। তবে বিএলও-দের দাবি, মোবাইল কেনা ও ডেটার খরচের জন্য এই ১২ হাজার টাকাও যথেষ্ট নয়।


    কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিহারে এসআইআরের সময়ও ৬ হাজার টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়েছিল। এই একই মডেল অনুসরণ করে পশ্চিমবঙ্গেও বিএলও-দের উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। আগেও যখন নির্দিষ্ট সময়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতেন তখন প্রায় ২ মাসের জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হত বিএলও-দের। এবার এসআইআর আবহে তা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)