এসআইআর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সাতজন মারা গিয়েছে বলে খবর। আজ, বুধবারও ভাঙড়ের কাশীপুরে মিলেছে রফিক গাজি নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। এসআইআর আতঙ্কেই মৃত্যু বলে দাবি করা হচ্ছে। এসআইআর নিয়ে বিজেপির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার মিছিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল জোড়াসাঁকোর সভা থেকে অভিষেক আশ্বাস দিয়ে বলেন চিন্তার কোনও কারণ নেই। তৃণমূলের লিগাল সেল পাশে থাকবে বলে জানান তিনি। যে কোনও সমস্যায় সহযোগিতা করা হবেও বলে জানান অভিষেক।
সেই মতো পদক্ষেপ করা শুরু করল তৃণমূল। চলতি মাসে দশদিন রাজ্যজুড়ে জনসভা করবে তৃণমূলের লিগাল সেল। এমনই খবর জানা গিয়েছে। বাড়তি নজর উত্তরবঙ্গ এবং শুভেন্দুর গড় জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে দেওয়া হবে বলে খবর। আগামী ১১ নভেম্বর কলকাতা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি মিছিল হবে বলে খবর। তারপর দুপুর ৩টে নাগাদ ডোরিনা ক্রসিংয়ে হবে জনসভা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই তৃণমূলের লিগাল সেল প্রস্তুতি শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১১ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে জনসভা করবে তৃণমূলের লিগাল সেল। বিজেপির চক্রান্ত রুখতে এবং জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেবে এই লিগাল সেল।
উল্লেখ্য ২৮ অক্টোবর থেকে এ রাজ্যে চালু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। প্রায় ১০ দিন হতে চলল এসআইআরের কাজ। ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। তবে এসআইআর নিয়ে রাজ্যবাসীর মনে হাজারও প্রশ্নের ভিড় জমা করে রয়েছে। নথিতে যদি সামান্য ভুল থাকে তাহলেও কি ঘর ছাড়া হতে হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে অনেকেই। একজনেরও নাম বাদ গেলে দিল্লিতে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মানুষের মনের ভয় দূর করতেই অভিষেকের নির্দেশে ময়দানে নামছে লিগাল সেল।