• নিখোঁজ শিক্ষকের রহস্যময় মৃত্যু! নিস্তব্ধ পুকুরে ভেসে উঠল দেহ... বিরাটিতে বিভীষিকা...
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সৌমেন ভট্টাচার্য: বুধবার সকালে বিরাটির স্বামিজি পল্লী এলাকার একটি পুকুর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর ও নিমতা থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম মৃতুল দেবনাথ (৪২), দক্ষিন নিলাচলের বাসিন্দা। 

    বেশ কয়েকদিন ধরে গৃহ শিক্ষক এই মৃতুল দেবনাথ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এরপর ৩ তারিখ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ওই দিন পরিবারের তরফে বিমানবন্দর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে। এদিন দেহ দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি সাঁতার জানতেন না। একটি স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই থেকে এই ধরনের ঘটনা। স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আইফোন না কিনে দেওয়ায় আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির ছাত্র দীপাঞ্জন দাস (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাঞ্জন নিমপীঠ আশ্রমের নবম শ্রেণির ছাত্র।

    কয়েক মাস আগে প্রায় ৩২ হাজার টাকা দিয়ে তাকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা, ভাষ্কর দাস, যিনি পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু জন্মদিন উপলক্ষে আবারও সে মা-বাবার কাছে আইফোন কিনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। পরিবার তা অস্বীকার করায় দীপাঞ্জন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

    পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে সে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়াও করছিল না। সোমবার বিকেলে দিদার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ দীপাঞ্জনকে না দেখে খোঁজ করতে গিয়ে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ তার দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    পড়াশোনায় ভালো এবং অত্যন্ত মিশুক স্বভাবের ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল দীপাঞ্জন। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

    আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 


    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১


    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭


    ২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)