ফের পাক দ্বিচারিতা, নানক জয়ন্তীতে ১৪ পুণ্যার্থীকে সীমান্ত থেকে ফেরাল পাকিস্তান
প্রতিদিন | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুরের পরে ভারত-পাক উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেও এবার ২১০০ জন পুণ্যার্থীকে ভিসা দিয়েছিল পাকিস্তান। যদিও তার মধ্যেও ১৪ জন পুণ্যার্থীকে গুরু নানকানা সাহিবে গুরু নানকের ৫৫৬তম জন্মজয়ন্তীতে অংশ নিতে দিল না পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। যেহেতু তাঁরা হিন্দু।
গুরু নানকের ৫৫৬তম জন্মজয়ন্তী উৎসবে অংশ নিতে প্রাথমিকভাবে ২১০০ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রক। এর মধ্যে মঙ্গলবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ১৯০০ জন পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। এইসঙ্গে খবর, ১৪ জন পুণ্যার্থীকে সীমান্ত থেকেই ফেরত পাঠিয়েছে পাক কর্তৃপক্ষ। এরা সকলেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সিন্ধি এবং ভারতীয় নাগরিক। সূত্রের খবর, ওই ১৪ জন জানিয়েছেন যে তাঁদের বলা হয়েছে, “আপনারা হিন্দু… শিখ পুণ্যার্থীদের সঙ্গে আপনাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
এছাড়াও যে ৩০০ জন ব্যক্তিগতভাবে ভিসার আবেদন করেছিলেন, তাঁদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদনপত্র না থাকায় ফেরত পাঠানো হয়। এদিকে নানকের জন্মজয়ন্তীতে অংশ নিতে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন অকাল তখত নেতা জিয়ানি কুলদীপ সিং গারগজ, বিবি গুরিন্দর কৌরের নেতৃত্বে শ্রীমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির প্রতিনিধিদল এবং দিল্লি গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির রবিন্দর সিং সুইতা। উল্লেখ্য, লাহোর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বুধবার গুরু নানকের জন্মস্থান নানকানা সাহিবে মূল অনুষ্ঠানটি হবে।
প্রতিবছর নানকজয়ন্তীতে পাকিস্তানের শিখ ধর্মীয় স্থানগুলিতে প্রতিনিধিদল যায় ভারত থেকে। এই মাসের শুরুতেই এই শিখ ‘জাঠা’গুলিকে পাকিস্তান যাওয়ার অনুমতি দেয় ভারত সরকার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান দিল্লির মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সত্ত্বেও এই সফরের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, কর্তারপুর করিডোর দুই দেশের ধর্মীয় আদান-প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ২০১৯ সালে কর্তারপুর সাহেবে শিখ তীর্থযাত্রীদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হলেও বড় জাঠাগুলি সাধারণ প্রোটোকল মেনেই মাধ্যমেই ভ্রমণ করে। এই বছর, ভক্তদের যাওয়া আসা সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত। ভারত ও পাকিস্তান দুই সরকারই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছে।