ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি যাত্রীবোঝাই বাসে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে চাপড়া থানার পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। সীমানগরে যেখানে বিএসএফের ক্যাম্প সেখানে গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ বাস থেকে ফেনসিডিল নামায়। তখনই বিএসএফ কর্মীরা গিয়ে সেই ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিএসএফ কর্মীদের মারে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় একজন বিএসএফ কর্মীকে আটক করে চাপড়া থানার পুলিশ।
রাত পেরতেই বিএসএফ-পুলিশের দ্বন্দ্বে ইতি। বিএসএফের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। দু’পক্ষেরই কয়েকজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। যৌথ উদ্যোগে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।” সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছে পুলিশও। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয়মিত কুমার মাকওয়ানা জানিয়েছেন, আহত পুলিশকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। জেলা পুলিশ এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করে সিরাপগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে।