পুলিশি ‘হেনস্তা’র প্রতিবাদে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে IC বদলের দাবি সুকান্তর
প্রতিদিন | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন যাত্রায় পুলিশি হেনস্তার অভিযোগ। প্রতিবাদে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতয়ালি থানা ঘেরাও বিজেপির। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল করা হয়। থানা থেকে কিছুটা দূরে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কোতয়ালি থানার আইসি বদলের দাবি জানান সুকান্ত।
ঘটনা গত ৩১ অক্টোবরের। রাজ্য পুলিশের তরফে আগেই জানানো হয়, “কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটে জগদ্ধাত্রী নিরঞ্জন চলছিল। সেই সময় চকেরপাড়া বারোয়ারি ক্লাবের বেশ কয়েকজন মদ্যপ সদস্য ঘাটে থাকা মহিলাদের হেনস্তা করে। মহিলা পুলিশকর্মী তাতে বাধা দিতে যান। তাঁকেও হেনস্তার চেষ্টা করা হয়। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় মৃদু লাঠিচার্জ করে। রাজ্য পুলিশের সবসময়ই মহিলা হেনস্তা রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি। যারা এই ঘটনাটিকে দাঙ্গার রূপ দিতে চাইছেন, তাদের তথ্য যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। যারা ভুয়ো তথ্য রটিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থানা ঘেরাও করে বিজেপি। সুকান্ত বলেন, “কোতয়ালি থানার আইসি অনেক বীরত্ব দেখিয়েছেন। সিভিক ভলান্টিয়াররাও এখানে অনেক বীরত্ব দেখায়। আইসি কী কী করেছেন, তার একটা তালিকা তৈরি করব। আমি সাফ বলছি, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইসিকে বদল করতে হবে। আর না হলে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।” SIR নিয়েও তৃণমূলের দাবি নিয়ে আপত্তি জানান সুকান্ত। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। বলেন, “আমাদের হাতও আছে, দড়িও আছে প্রচুর। বাঁধাবাঁধি শুরু হলে, আমরাও কম বাঁধব না। এমন জায়গায় বাঁধব গলা দিয়ে সব বেরিয়ে আসবে।” শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দেন তিনি।