খানাকুলে BLO-দের ‘ম্যান মার্কিং’, পিছনে ঝান্ডা হাতে তৃণমূল কর্মীরা!
প্রতিদিন | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে কাগজপত্র নিয়ে যাচ্ছেন BLO। তাঁর পিছনে কমপক্ষে জনাদশেক ব্যক্তি। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা। হুগলির খানাকুলের ঘটনা। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে তীব্র নিন্দা বিজেপির। যদিও রাজ্যের শাসক শিবির গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে।
খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ ভিডিও শেয়ার করেন। ওই ভিডিওকে দেখা দিয়েছে বিএলও-র পিছন পিছন তৃণমূল কর্মীদের। ভিডিওটি শেয়ার করেন বিএলও। লেখেন, “সবাই সজাগ ও সতর্ক থাকন। তৃণমূল এসআইআরের কাজ করছে।” ওই বিধায়কের দাবি, “SIR নিয়ে ভীত তৃণমূল। তাই ঝান্ডা হাতে তৃণমূল কর্মীরা বিএলওদের পিছনে পিছনে ঘুরছেন। বিএলওরা ভয় পাবেন না। সঠিকভাবে কাজ করুন। নইলে সাঁড়াশি চাপে পড়বেন।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, “ভোটের সময় বুথ দখল করে তৃণমূল। আর তার আগে থেকেই এখন বিএলও দখল করছে।” যদিও রাজ্যের শাসক শিবির এই দাবি মানতে নারাজ। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বহু বিএলও স্থানীয় রাস্তাঘাট চেনেন না। তার ফলে ভোটার তালিকায় নাম দেখে ওই বাসিন্দার বাড়িতে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। তাই তাঁদের সাহায্য করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”
উল্লেখ্য, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া বা এসআইআর শুরু হয়েছে রাজ্যে। এনিয়ে আমজনতার হাজার আশঙ্কা, উদ্বেগের মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্যেই ব্লক স্তরের সরকারি আধিকারিক বা বিএলও-দের এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষ। গত মঙ্গলবার থেকে তাঁরা বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শুরু করবেন।এদিকে, এসআইআরে যাতে একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ না পড়ে, সেই দাবি বরাবর করেছে তৃণমূল। এই আবহে রাজ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর নেপথ্যে এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ ওঠায় তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অযথা মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করার অভিযোগে আজই পথে প্রতিবাদে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজ চলবে আগামী একমাস অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই একমাসের মধ্যে ওই ফর্মপূরণের কাজ হবে। তার ভিত্তিতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। আর তারপর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে।