১০ বছরে ৯০০ বার ব্যাংকক যাত্রা! ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় ইডির স্ক্যানারে খড়দহের ব্যবসায়ী
প্রতিদিন | ০৫ নভেম্বর ২০২৫
অর্ণব আইচ: ভুয়ো পাসপোর্ট মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে খড়দহের ব্যবসায়ী বিনোদ গুপ্তার বিদেশ যাত্রা। তদন্তকারীদের দাবি, গত ১০ বছরে ৯০০ বার ব্যাংকক গিয়েছেন এই ব্যবসায়ী। কিন্তু কেন? তারই খোঁজ চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। ভুয়ো পাসপোর্ট মামলার নেটওয়ার্ক খুঁজতে গত সোমবার নদিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার খড়দহের ব্যবসায়ী বিনোদ গুপ্তের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। গভীর রাত পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চলে। দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাতে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যও।
যা রীতিমতো সন্দেহজনক বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। অন্যদিকে গত ১০ বছরে কেন ৯০০ বার ব্যাঙ্কক যেতে হল বিনোদ গুপ্তকে সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর মশলার ব্যবসা রয়েছে। সেই কাজের জন্যেই বারবার বিদেশ যাত্রা। যদিও তা মানতে নারাজ তদন্তকারীর। ইডি সূত্রে খবর, মশলা ব্যবসার পাশাপাশি বিনোদ গুপ্তের ফরেক্সের ব্যবসাও রয়েছে। সেই ব্যবসার সূত্রে বিনোদ গুপ্তের বারবার ব্যাঙ্কক যাত্রা কিনা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেনও যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে দাবি ইডি। ফলে ফের একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে ফের বিনোদ গুপ্তকে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিককে জাল পাসপোর্ট মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। তাঁকে জেরা করে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার গেদে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সম্প্রতি নদিয়ার শিবপুর থেকে ইন্দুভূষণ হালদার নামে আরও একজন গ্রেপ্তার হয়।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিক আজাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ রয়েছে ইন্দুভূষণের। শুধু তাই নয়, ধৃত ইন্দুভূষণকে জেরা করেই খড়দহের ব্যবসায়ী বিনোদ গুপ্তার নাম পান ইডি আধিকারিকরা। জানা যায়,ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করে যে টাকা ইন্দুভূষণরা পেয়েছিলেন, তা ফরেক্সে বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই লেনদেন থেকেই বিনোদের খোঁজ পান ইডি আধিকারিকরা।