ছত্তিশগড়ে বড় অভিযান! মাওবাদীদের অস্ত্রঘাঁটি ধ্বংস করল নিরাপত্তারক্ষীরা
প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জঙ্গলে বড়সড় অভিযান চালাল নিরাপত্তারক্ষীরা। ধ্বংস করা হল মাওবাদীদের অস্ত্রঘাঁটি। জঙ্গলের ভিতর গোপনে এই অস্ত্র কারবারি চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র।
সোমবার গোপন সূত্রে পেয়ে সুকমার গোমগুদা জঙ্গলে অভিযানে নামে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড। এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানোর নজরে পড়ে ওই অঞ্চলে বিশাল অস্ত্রের কারখানা তৈরি করেছে মাওবাদীরা। তারপরই বিরাট ওই অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম। সূত্রের খবর, ওই অঞ্চল থেকেই ছাত্তিশগড়-সহ পাশ্ববর্তী রাজ্যে থাকা মাওবাদীদের হাতে পৌঁছে যেত অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। অনুমান করা হচ্ছে, নিরাপত্তাবাহিনীর উপর বড়সড় হামলা চালানোর প্রস্তুতি চলছিল এখান থেকে। সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চাভন বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের উদ্দেশ্য কেবল মাওবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করা নয় বরং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা। যারা অস্ত্র ত্যাগ করে সমাজে ফিরে আসতে চান, তাদের সরকারের পুনর্বাসন নীতির অধীনে একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। ২০২৪ সালে বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জন মাওবাদীর। গ্রেপ্তার হয়েছে হাজারেরও বেশি, পাশাপাশি আত্মসমর্পণ করেন ৮৩৭ জন। ২৪-এর পর ২০২৫ সালে অভিযানের ঝাঁজ আরও বেড়েছে। রিপোর্ট বলছে, গত ৯ মাসে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ২১০ জন মাওবাদীর। এদের মধ্যে শুধুমাত্র ছত্তিশগড়ে ১৩ জন শীর্ষ মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে। যাদের মাথার ন্যূনতম ২০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত।