• ‘বন্দে মাতরমে’র দেড়শো বছর উদযাপনে নির্দেশিকা কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে, আপত্তি ধর্মীয় সংগঠনের
    প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত জাতীয় মহামন্ত্র ‘বন্দে মাতরম’-এর দেড়শো বছর। সেই সূত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের স্কুলগুলিতেও ‘বন্দে মাতরম’ উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছিল ওমর আবদুল্লা সরকার। যদিও ভূস্বর্গের একটি ধর্মীয় সংগঠন এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে নির্দেশিকা বাতিলের আবেদন জানাল।

    কাশ্মীরে ‘বন্দে মাতরম’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হতেই সরব হল ধর্মীয় সংগঠন মুতাহিদা মজলিশ-ই-ইলেমা (এমএমইউ)। তারা লেফ্টেন্যান্ট গভার্নর মনোজ সিনহার কাছে আবেদন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সাংস্কৃতিক উৎসবের আড়ালে মুসলমানদের উপর আরএসএসের মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” এমএমইউ-র বক্তব্য, “এমন নির্দেশিকা এই অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই উদ্বেগের বিষয়টিকে তুলে ধরতে ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।”

    সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ‘বন্দে মাতরম’ মন্ত্রের দেড়শো বছর উদযাপন শুরু হবে। সংস্কৃতি দপ্তরের নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, ভূস্বর্গের স্কুলগুলির পড়ুয়ারা এই সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেবে। এদিকে মুতাহিদা মজলিশ-ই-ইলেমার দাবি, “এই নির্দেশিকাটি ঐক্য এবং বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধার দেখানোর পরিবর্তে সাংস্কৃতিক উদযাপনের আড়ালে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে আরএসএস-চালিত হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’

    সংগঠনটি ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার কাছে নির্দেশিকা বাতিলের আবেদন করা হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ‘বন্দে মাতরম’ মন্ত্র কেবল হিন্দুত্ববাদীদের সম্পত্তি নয়। বরং পরাধীন ভারতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপ্লবীদের মহামন্ত্র ছিল। অতএব, তা নিয়ে আপত্তি তোলা অর্থহীন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)