‘কোনও খানকে মুম্বইয়ের মেয়র হতে দেব না’! নিউ ইয়র্কে মামদানি জিততেই বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার
প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে দক্ষিণপন্থি নেতারা। মামদানির জয়ের পরই তাঁরা বিষ ঢালতে শুরু করে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। একই ঘটনা ভারতে। মামদানির জয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। মুম্বইয়ের বিজেপি নেতার দাবি, ‘কোনও খানকে মুম্বইয়ের মেয়র হতে দেব না।’
মুম্বাই বিজেপির প্রধান অমিত সাতম সোশাল মিডিয়ার পোস্টে লেখেন, ‘আমরা কোনও খানকে মেয়র হতে দেব না।’ আন্ধেরি পশ্চিমের বিধায়ক সাতম মামদানির জয়কে ‘ভোট জিহাদ’ বলেছেন। তাঁর দাবি, ‘নিউ ইয়র্ক সিটিতে যেমন রাজনীতি দেখা গিয়েছে, মুম্বইতেও তেমন রাজনীতি আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার দাবি, ‘কিছু লোক রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তোষণের পথ অবলম্বন করছে। মুম্বইকে এমন শক্তি থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন যারা আগে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে।’ তাঁর দাবি, তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ দেশবিরোধী অবস্থান নিয়ে সমাজকে ভাগ করার চেষ্টা করে, আমরা তাদের বিরোধিতা করব।’
যদিও, মামদানির জয়ের মধ্য দিয়ে, অভিবাসী বনাম স্থানীয় বাসিন্দার দ্বন্দ্ব ফের একবার সামনে চলে এসেছে। মুম্বইয়ে বৃহন্মুম্বই পৌর কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর নির্বাচনেয় স্থানীয় বনাম বহিরাগতদের এই দ্বন্দ্বের প্রতিফলন দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। এমএনএস এবং শিবসেনা এই ইস্যুতে তাদের রাজনীতির অভিমুখ পরিচালনার জন্য সুপরিচিত। এর উপরে বিজেপি নেতা অমিত সাতমের বক্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে বিজেপিও একই পথে হাঁটতে চলেছে।
মার্কিন মুলুকে মামদানির বিরোধীতার সুরে সুর মিলিয়ে সাতমের দাবি, ‘আমরা সবসময় মুম্বইয়ের উন্নয়ন এবং ঐক্যের পক্ষে থাকব। শহর জুড়ে বন্দে মাতরম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিটি নাগরিকের গর্বভরে এটি বলার অধিকার রয়েছে। শহরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় পরিবর্তনের কোনও প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
প্রসঙ্গত, শুধু নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচন নয়, নিউ জার্সি এবং ভার্জিনিয়ায় গভর্নর নির্বাচনেও পরাজয়ের মুখ দেখেছেন রিপাবলিকানরা। দু’টি প্রদেশেই জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও এই দু’টি জায়গায় পরাস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের হারের সেই ধারা এবারও বজায় রইল।