• তদন্ত ভুল পথে চালানোর চেষ্টা? জগদ্দল গুলি কাণ্ডে অর্জুনের এফআইআরে প্রশ্ন তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: জগদ্দলের মেঘনা জুটমিল সংলগ্ন এলাকায় শুটআউটে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিট গঠন হয়েছে। এবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। বুধবার অভিযোগ জানিয়ে অর্জুন বলেন, “এই ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। এর প্রেক্ষিতে আদালত বলেছিল, আমাকে কোথায় দেখা যায়নি। প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা আদালতে জানিয়েছিলাম, আমাদের অভিযোগকে এফআইআর করে কেস শুরু হয়নি। পুলিশ নিজে মামলা রুজু করে একজনকে গ্রেপ্তার করলেও আরেকজনকে ধরেনি। কোর্টে এই নিয়ে মামলা চলছিল।”

    তিনি আরও বলেন, “কলকাতা হাই কোর্ট রায় দিয়ে বলেছে কেস শুরু করতে হবে। পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে সিট গঠন হয়েছে। সেই অনুযায়ী এদিন আমার এফআইআর গ্রহণ হল।” যদিও এনিয়ে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “যেখানে হাই কোর্টের নির্দেশে সিট গঠন করে তদন্ত চলছে, সেখানে নতুন করে এফআইআর করে প্রাক্তন সাংসদ নিজেকে আড়াল করে তদন্তকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”

    উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ রাতে, জগদ্দলের মেঘনা মোড় এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই খবর পেয়ে অর্জুন সিং কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা মোড়ের কাছে পৌঁছেছিলেন। সেখানে গিয়ে অর্জুনের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালায়। পালটা ধাওয়া করেন তাঁরাও। তাতেই পালাতে গিয়ে জখম হন এক যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় ওই এলাকা। আহত যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’বার অর্জুন সিংকে তলব করে বারাকপুর পুলিশ। তবে তিনি হাজিরা দেননি। ভাটপাড়ার মজদুর ভবনে গিয়ে অর্জুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের পরই ব্যক্তিগত কাজে অর্জুন সিং ভিনরাজ্যে চলে যান।

    এদিকে, এই ঘটনায় বারাকপুর আদালতে মামলা ওঠে। বিচারক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অর্জুন সিং। সেখান থেকে অবশ্য রক্ষাকবচও পেয়ে যান। গত ২৪ অক্টোবর, কলকাতা হাই কোর্টে বিপাকে পড়েন বিজেপি নেতা। এফআইআর খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে বলেই জানান বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)