• বিজেপির BLA-র দু’টি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে পূর্বস্থলীতে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার
    প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির BLA-র দু’টি ভোটার কার্ড! এপিক নম্বর আলাদা। একই ব্যক্তির কীভাবে দু’টি ভোটার কার্ড, তা নিয়ে সরব তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, ভোটার কার্ড দু’টি হলেও, ভোট দেন একটিই। এসআইআর আবহে এই ইস্যুতে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে জোর দড়ি টানাটানি।

    পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচলকি গ্রামের ১১৭ নম্বর বুথের বিজেপির BLA গৌরাঙ্গ হালদার। জানা গিয়েছে, তাঁর নাকি দু’টি ভোটার কার্ড। দেখা গিয়েছে, ভোটার তালিকার ৪১৪ নম্বর ও ৬৮০ নম্বর পার্টে নাম রয়েছে গৌরাঙ্গ হালদারের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দু’টি এপিক নম্বর। তৃণমূল সভাপতি সনাতন ঘোষের দাবি, একই ব্যক্তির কীভাবে দু’টি ভোটার কার্ড? তিনি দু’বারও ভোট দিতে পারেন। যেখানে SIR নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। সেই আবহে বিএলএ-র যদি দু’টি ভোটার কার্ড থাকে, তাহলে অনুপ্রবেশকারীদের কী দোষ? যদিও বিজেপির ওই BLA গৌরাঙ্গ হালদারের দাবি, ২০২৪ সালে এটি ছিল না। ২০২৫ সালে ভুল করে এটি চলে আসে। গৌরাঙ্গের আরও দাবি, তাঁর একটাই ভোটার কার্ড। এবং তিনি একবারই ভোট দেন। তৃণমূল যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যা।

    উল্লেখ‌্য, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনলাইন ভোটার তালিকার নামে কারসাজির অভিযোগে সরব হন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ‘আশীর্বাদে’ ভোটার তালিকায় গরমিল করা হচ্ছে। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে কমিটিও গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ওই কমিটিতে রয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণের পর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠানোও হয়। যদিও কমিশনের সাফাই, একই এপিক নম্বর থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। তৃণমূলের চাপে নতিস্বীকার করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দাবি, দুই বা ততোধিক ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁদের ভুয়ো ভোটার বলা যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য একাধিক শর্তের মাধ্যমে দুই ভোটারকে আলাদা করা সম্ভব। তবে তারপরেও কীভাবে বিজেপি BLA-র দু’টি ভোটার কার্ড তা নিয়ে চলছে জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর।
  • Link to this news (প্রতিদিন)