অর্ণব দাস, বারাকপুর: মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! হাতেনাতে ধরা পড়তেই জুটল বেধড়ক মার। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে ঘোলা থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে পরে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম অরুণ ভট্টাচার্য। বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলার এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠী শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকা একটি বাড়িতে একাই ছিলেন। কাজের সূত্রে তাঁর মা-বাবা ছিলেন বাইরে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে মদ্যপ অবস্থায় নাবালিকার বাড়িতে ঢোকেন প্রতিবেশী ‘দাদু’ অরুণ। অভিযোগ, এরপরেই বছর বারোর নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করে সে। প্রৌঢ়ের আচরণে আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে প্রতিবেশীদের সে গোটা ঘটনা জানালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। এরপরই উত্তেজিত হয়ে এলাকার মহিলারা একত্রিত হয়ে ‘উচিত শিক্ষা’ দেয় অভিযুক্তকে। প্রৌঢ়ের চুলের মুঠি ধরে চলে চড়-থাপ্পড়। মুলে দেওয়া হয় কান! খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে ঘোলা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দা মধুমিতা মুখোপাধ্যায় বললেন, “ক’দিন ধরেই বাচ্চাটাকে টাকা দিচ্ছিল। আদর করার ছলে জড়িয়ে ধরছিল।ও ভেবেছিল দাদু হয় তাই ওরকম করছে। কিন্তু, এদিন সব সীমা পার হয়ে যায়। মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে ওর শ্লীলতাহানি করে অরুণ ভট্টাচার্য।” নির্যাতিতার বাবা বলেন, “মেয়ের সঙ্গে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরেই কাজ ফেলে তড়িঘড়ি বাড়িতে ছুটে আসি। আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”