রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নদিয়ার পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতিকে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল কর্নাটক পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, পলাশিপাড়া থানার বার্নিয়া এলাকার স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। সেখানেই চরম হেনস্তার শিকার হন তাঁরা।
স্বামী রাজিম শেখ নোংরা ফেলা গাড়ির চালক। স্ত্রী সুন্দরী বিবি পরিচারিকার কাজ করেন। ওই বাড়ি থেকে একটি মূল্যবান গয়না চুরি হয়ে যায়। সন্দেহ গিয়ে পড়ে পরিচারিকা সুন্দরী বিবির উপর। তাই সে বাড়ির মালকিন পরিচারিকা সুন্দরী বিবিকে পরীক্ষা করার জন্য ৩০ অক্টোবর সকালে ঘরে সোফার নিচে একটি ১০০ টাকার নোট ফেলে রাখেন। নিত্যদিনের মতো সুন্দরী বিবি ঘর সাফাই করতে গিয়ে টাকাটি দেখতে পান। এক হাতে রেখে ঘর সাফাই করতে থাকেন। এই টাকা তুলে হাতে নেওয়ার দৃশ্য সিসিটিভিতে বাড়ির মালকিন নজরদারির সময় দেখতে পান। এরপরই হাতেনাতে চোর ধরেছি বলে মারধর করেন। এবং তাঁর স্বামীকে ডাকা হয়। তাঁকেও মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় থানার পুলিশকে ডেকে চোর অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় দম্পতি। পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি ভেবে দু’জনকে মারধর করে বলেই দাবি। অবশেষে এই খবর স্থানীয় একটি সংগঠন জানতে পারে। থানায় ফোন করেন ওই সংগঠনের সদস্যরা। রাত আটটা নাগাদ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন সংগঠনের কর্মীরাই দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিলেও তাঁদের আতঙ্ক কাটেনি। এই খবর পলাশিপাড়া থানার দম্পতির বাড়িতে আসে। পরিবারের সদস্যরাও আতঙ্কিত। এই ধরনের পৈশাচিক ঘটনায় উঠেছে নিন্দার ঝড়।