• মহিলাদের নগদ হস্তান্তর প্রকল্প ক্রমে চাপ বাড়াচ্ছে কোষাগারে?
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, লড়কি বহিন, গ্রূহ লক্ষ্মী, লাডলি বেহনা। ফারাক শুধু নামে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মধ্যপ্রদেশ। কর্ণাটক থেকে মহারাষ্ট্র। আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যই নিঃশর্ত নগদ হস্তান্তর প্রকল্প চালু করেছে।  যদিও প্রশ্ন,  এই ধরনের প্রকল্প কি আদৌ মহিলাদের সাবলম্বী করে? নাকি ভোটে জিততে বা ক্ষমতা ধরে রাখতে কাজে লাগায় রাজনৈতিক দলগুলি, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। কিন্তু এরমধ্যেই এই প্রকল্পে ভরসা রাখছে একের পর এক রাজ্যের সরকার। বছর তিন-চারেক আগে মাত্র দু-একটি রা‌জ্যে এই ধরনের প্রকল্প ছিল। আর আজ তা চালু হয়েছে ১২ রাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রকল্প চালাতে কোষাগারে চাপ পড়ছে।  ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই খাতে ১২টি রাজ্যের সম্মিলিত 

    ব্যয়ের পরিমাণ হতে চলেছে প্রায় ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা। যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশ। অথচ বছর দুয়েক আগে এই ধরনের প্রকল্পে ব্যয় ছিল জিডিপির ০.২ শতাংশেরও কম। সম্প্রতি ‘পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চে’র এক সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য। 

    সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নারী কল্যাণে নগদ হস্তান্তরের এই প্রকল্প চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যগুলি। অর্থ ভাণ্ডারে ক্রমে চাপ বাড়ছে। কারণ ওই ১২ রাজ্যের মধ্যে ছয়টিতে  ইতিমধ্যেই রাজস্ব ঘাটতির পূর্বাভাস মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে ভাঁড়ারের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক রাজ্যই কাটছাঁটের পথে হাঁটছে। কোনও রাজ্য বারংবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের যোগ্য উপভোক্তা খোঁজার অভিযান চালাচ্ছে। এর জেরে লক্ষ লক্ষ মহিলার নাম বাদ যাচ্ছে। কেউ কেউ টাকার পরিমাণ কমানোর পথে হাঁটছে। যেমন মহারাষ্ট্র কোনও কোনও ক্ষেত্রে সাহায্যের পরিমাণ দেড় হাজার থেকে কমিয়ে পাঁচশো টাকা করেছে।  মহিলাদের নগদ হস্তান্তরে ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। অসম এই খাতে বরাদ্দ ৩১ শতাংশ বাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তা ১৫ শতাংশ। 
  • Link to this news (বর্তমান)