নয়াদিল্লি: শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্যই পকসো আইন। কিন্তু তার অপব্যবহার হচ্ছে দাম্পত্য কলহ, কিশোরদের মধ্যে সম্মতিমূলক শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। মঙ্গলবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি যৌন হেনস্তা সম্পর্কিত আইন সম্পর্কে কিশোর ও পুরুষদেরও মধ্যে সচেতনতার প্রসারেও জোর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নারী ও শিশুদের উপর যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে আইনকে শিশুদের পাঠ্যক্রমের অর্ন্তভুক্ত করবার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী আবাদ হর্ষদ পন্ডা। শীর্ষ আদালতে তাঁর আবেদন ছিল, বিনামূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ বছরের নীচের শিশুদের প্রত্যেককে শিক্ষা দিতে হবে। সেই মামালার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র, শিক্ষামন্ত্রক, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও সেন্ট্রাল ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি বি ভি নাগারত্না ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নারীদের জন্য দেশকে আরও সুরক্ষিত করতে মানুষকে ধর্ষণ ও পকসো আইন সম্পর্কে জানানো জরুরি। আদালত বলেছে, ‘পকসো আইনকে দাম্পত্য কলহ, কিশোরদের মধ্যে সম্মতিমূলক শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের উচিত যৌন হেনস্তা ও তার আইন সম্পর্কে সচেতনতার প্রসার করা।’