• তিন বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ ভূমিকা নেবে ‘অপারেশন সিন্দুরে’র অভিজ্ঞতা: সিডিএস
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও হামলার জবাবে ‘অপারেশন সিন্দুর’। ভারতীয় সেনার এই বিশেষ অভিযান ঘিরে চর্চা চলেছে বিশ্বজুড়ে। অভিযানের পরিকল্পনা এবং সাফল্য নিয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এবার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংয়ের কথায় উঠে এল ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর গুরুত্ব। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া ডিফেন্স কনক্লেভ ২০২৫’-এর মঞ্চে জেনারেল চৌহান বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুর অনেক কিছু শিখিয়েছে। যা আগামীতে তিন বাহিনীর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর হবে। তিনি জানান, সেনাবাহিনী এখন নিউ নর্মালের সঙ্গে অভ্যস্ত হচ্ছে। এই নিউ নর্মাল বলতে তিনি বুঝিয়েছেন ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরবর্তী সময়ের কথা। যেখানে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে দেশের সেনাকে। যে কোনও মুহূর্তে বড় অপারেশনের জন্য তাঁরা তৈরি। বিশেষ করে ড্রোন এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৪ ঘণ্টাই সক্রিয়। এরপরই তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সীমান্তে নজরদারি এবং কাইনেটিক অপারেশন চালানোর সক্ষমতা থাকতে হবে সেনার। ভবিষ্যতের যুদ্ধে প্রযুক্তির দিক থেকে ভারতকে সবসময় এগিয়ে থাকতে হবে। শুধুমাত্র স্থির কোনও লক্ষ্যবস্তু নয়, চলমান লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁত আঘাত হানতে হবে।’ সিডিএস আরও জানান, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অভিজ্ঞতা আগামীতে তিন বাহিনীর কার্যপদ্ধতিকে আরও মজবুত করবে। তাতেই নিশ্চিত হবে দেশের নিরাপত্তা। 

    ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ থেকে গোটা বিশ্বের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কীভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করে দ্রুত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো যায়, তা প্রমাণ করেছে এই অভিযান। তাঁর দাবি, ‘বর্তমানে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে শুধুমাত্র অহংকার ও রাজনৈতিক ইগোর কারণে। এই প্রবণতা অত্যন্ত ক্ষতিকারক।’ তাঁর মতে, ভারতীয় সেনার শৃঙ্খলা ও পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক স্তরে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)