সংবাদদাতা, চাঁচল: ময়দানে নেই বিজেপি! স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের (এসআইআর) দাবিতে গলা ফাটাচ্ছিলেন বিজেপির তাবড় নেতারা। নির্বাচন কমিশন সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কমিশনের বিএলওরা ইনিউমারেশন ফর্মও দিচ্ছেন। মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দল বুথ লেভেল এজেন্ট রেখেছে। কিন্তু মালদহের চাঁচলে নিজেদের জেতা বুথেও বিএলএ দিতে পারছে না বিজেপি।
বুধবার চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথে বাড়ি বাড়ি ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি করেন বিএলও রিয়া মজুমদার। তার সঙ্গে তৃণমূলের এজেন্ট থাকলেও বিজেপির কাউকে দেখা যায়নি। আশ্রমপাড়া বুথের তৃণমূলের এজেন্ট অঙ্কুর দাস বলেন, ভাবতেই অবাক লাগছে। এখানে বিজেপি নির্বাচিত হয়েছে, কিন্তু তাদেরই এজেন্ট নেই। আমি একাই সব সামলাচ্ছি। অথচ বিজেপিই চাইছিল এসআইআর হোক। এনিয়ে গ্রাম্য এলাকার মানুষ কিছুটা আতঙ্কিত। কিন্তু এমন সময়ে বিজেপির কেউ তাঁদের পাশে নেই।
যদিও ওই বুথের বিজেপি সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মার দাবি, প্রশাসনের তরফে এখনও তালিকা দেওয়া হয়নি বলেই আমাদের এজেন্ট নেই।
শুধু সেখানেই নয়, রানি দাক্ষায়ণী গার্লস বুথে তৃণমূল ও কংগ্রেসের এজেন্টকে দেখা গেলেও বিজেপির কারও পাত্তা নেই। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘি ও বাসিলহাটেও একই অবস্থা। অন্যদিকে, কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাণসাগর বুথটি বরাবর তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানে বেশকিছু ভোট পেয়ে থাকে বিজেপি। ওই বুথের সদস্য রেজাউল খান বলেন, এলাকায় ফর্ম বিলির কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এলাকার মানুষ এসআইআর নিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত। কিন্তু বিজেপির কেউ বাসিন্দাদের পাশে এসে দাঁড়াননি।
এই ঘটনা নিয়ে পদ্ম শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। চাঁচল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ আফসার আলির কথায়, বিজেপি পরিকল্পনা করে রাজ্যে এসআইআর শুরু করেছে। গেরুয়া শিবিরের নেতারাই বেশি গলা ফাটাচ্ছিলেন। কিন্তু তারা বুথ এলাকায় এজেন্টই খুঁজে পাচ্ছে না। এতে প্রমাণ হচ্ছে, জনসমর্থন হারাচ্ছে বিজেপি। যতই এসআইআর হোক, একশো শতাংশ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ফের আমরা ক্ষমতায় আসব।
চাঁচল বিধানসভার ৪ নং মণ্ডল সভাপতি মৃগাঙ্ক দাস বলেন,আমরা সিংহভাগ এলাকায় এজেন্ট দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা। চাঁচলের আশ্রমপাড়ায় ফর্ম বিলি বিএলও’র। - নিজস্ব চিত্র।