সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে পাইকরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম সাবির হোসেন। বুধবার তাকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, ধৃতকে চারদিনের হেফাজতে নিতে চেয়ে পুলিশ আবেদন জানায়। বিচারক দু’দিনের পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইকরের একটি গ্রামে দ্বিতল মাটির বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন মাঝবয়সি ওই বিধবা মহিলা। পাশের একতলা পাকা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তাঁর ছেলে। পেশায় সবজি বিক্রেতা ওই মহিলার অভিযোগ, গত সোমবার রাতে তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ গ্রামেরই সিভিক ভলান্টিয়ার বছর আটত্রিশের সাবির ঘরে ঢুকে তাঁর গায়ে হাত দেয়। ঘুম ভেঙে গেলে তিনি চিৎকার করে ওঠার সময় ওই যুবক তাঁর মুখ চেপে ধরে। এরপর ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
মহিলা বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় ছেলে ওই যুবককে ধরে ফেলে বেঁধে রাখে। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই যুবক, আমাকে ও ছেলেকে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার আমি সাবিরের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাঁর অভিযোগ, থানায় বিষয়টি জানানোর পর নানান হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই ভয় লাগছে।
মঙ্গলবার রাতে মহিলার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। বছর ছয়েক আগেও ওই মহিলা অভিযুক্ত যুবকের নামে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতারও করে। এক মাস জেল খেটে সে বেরিয়ে আসে। পরে গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ওই মহিলা। সেটা স্বীকারও করেছেন ওই মহিলা। ওই ঘটনার কয়েকমাসের মাথায় যুবকের স্ত্রী তাকে ছেড়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। বছর খানেক আগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে তাকে সরিয়ে করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে যুবকের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। এখন ওই যুবকের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাইকরে বিধবা মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে রামপুরহাট আদালত থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।