• চা বাজে! মাথায় বাঁশের আঘাত করে দোকানদারকে খুন যুবকের
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মনের মতো চা হয়নি। বিস্কুটে কামড় দেওয়ার পর সেটাও পছন্দ হয়নি। তাই চা ও বিস্কুট খাওয়ার পর টাকা দিতে রাজি হয়নি ক্রেতা। প্রতিবাদ করতেই দোকানদারকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রায়নার খালেরপুল এলাকায়। ফরিদালি শেখ(৫০) নামে ওই দোকানদার আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত রাজা মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরো ঘটনা সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বচসা হওয়ার পর অভিযুক্ত দোকান থেকে বেরিয়ে আসছে। দোকান মালিক টাকা নেওয়ার জন্য তার পিছু নেয়। সেই সময় অভিযুক্ত একটি বাঁশ নিয়ে দোকান মালিকের দিকে এগিয়ে যায়। তার মাথায় বাঁশের আঘাত দিতেই ফরিদালি শেখ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাড়ি রায়নার মাছখণ্ডা গ্রামে। খালেরপুল এলাকায় তাঁর দোকান। বেলসরের বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবক রাজা মোল্লা প্রতিদিনই তাঁর দোকানে চা খেতে যেত। অনেক সময় টাকা না দিয়ে সে চলে যেত। এর আগেও তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপরও টাকা দেয়নি। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ওই যুবক পরিচিত হওয়ায় টাকা না দিলেও দোকান মালিক তাকে চা দিতেন। দিনের পর দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সে টাকা দিত না। এদিন চা খারাপ হয়েছে বলে বেরিয়ে যায়। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। দোকানে থাকা লোকজনরা আশান্তি মিটিয়ে দেয়। পরে সে আবার ফিরে এসে গণ্ডগোল করে।

     বাঁশ হাতে হামলার পর ফরিদালি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ার পরও অভিযুক্তর কোনও হেলদোল ছিল না। সে হাঁটতে হাঁটতে সেখান থেকে চলে যায়। পরে রায়না থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মৃতের ছেলে শেখ সৈয়দ আহমেদ বলেন, অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি চাই। সে এর আগেও দোকানে এসে অশান্তি করেছে। বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মণ্ডল বলেন, অভিযুক্ত অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)