• দাবি নিঃশর্ত নাগরিকত্ব, ঠাকুরনগরে আমরণ অনশন শুরু মতুয়া সমাজের
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: চলতি এসআইআর প্রক্রিয়ার নীতি পরিবর্তন ও নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে বুধবার থেকে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে শুরু হল আমরণ অনশন কর্মসূচি। তাঁদের দাবি, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতে আসা মতুয়া ও উদ্বাস্তুদের নতুন আইন এনে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে। এদিন বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘরের সামনে মঞ্চ বেঁধে অনশনে বসেন মমতা ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের সাধু, গোঁসাই ও দলপতিরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা পর্যন্ত এই অনশন চলবে। যদিও এদিনের কর্মসূচিতে ছিলেন না মতুয়া সংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। বাইরে থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এর সূচনা করেন। এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘কোনও মতুয়া এই কর্মসূচিতে শামিল হননি। বাংলাদেশি মুসলিম, রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটাররা ছিলেন সেখানে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘অনশনের ডাক দিয়ে মমতা ঠাকুরই পালিয়ে গিয়েছেন।’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য মমতা ঠাকুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের সামনে রেখে ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়ে মতুয়াদেরই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম বানাচ্ছে। ওর আসল রূপ প্রকাশ্যে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি পালিয়ে যায়নি। মতুয়াদের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি। শান্তনু ঠাকুরের উচিত ছিল মতুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।’ রাজ্যসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে ভোপালে আছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ। 

    আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ৫ তারিখ থেকে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা ঠাকুর। অনশন আন্দোলনে যোগ দিয়ে ত্রিনাথ গোঁসাই বলেন, ‘জীবনের ভয়ে এক কাপড়ে আমরা এদেশে চলে এসেছি। আমাদের কাছে ওই দেশের কিছুই নেই। এদেশের যা নথি আছে, তার উপর ভিত্তি 

    করেই আমাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।’ গোঁসাই পরিষদের সম্পাদক রঞ্জিত গোঁসাই বলেন, ‘আমরা দেশভাগের বলি। এসআইআর হোক। কিন্তু আমরা কোনও শর্ত চাই না। নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হোক।’ এদিন ঠাকুরবাড়িতে শান্তনুপন্থী মতুয়া সংঘের ৩৯তম বাৎসরিক মহা সম্মেলন ও রাস উৎসবের সূচনা হয়। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)