বাংলায় এসআইআর পর্বেই ভোটের বোধন, ২৭ নভেম্বর ইভিএমের পরীক্ষা
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রীতেশ বসু, কলকাতা:
এসআইআর-এর ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির কাজ চলছে রাজ্যজুড়ে। তুমুল ব্যস্ত বিএলও থেকে শুরু করে জেলাশাসক বা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসাররা। সমস্ত রাজনৈতিক দল ব্যস্ত ন্যায্য ভোটারদের নাম বাদ পড়া ঠেকাতে। আর ভোটার তালিকায় নাম খোঁজা, নথি জোগাড় ইত্যাদি নিয়ে আম জনতার মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-আতঙ্ক। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ইভিএম বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের প্রথম দফার পরীক্ষা (ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং বা এফএলসি)। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। শীঘ্রই ডিইওদের এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। অর্থাৎ, রাজ্যজুড়ে এসআইআরের মধ্যেই আসন্ন বিধানসভা ভোটের বোধন হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী নির্বাচনের অন্তত ১২০ দিন আগে শুরু করতে হয় ইভিএম পরীক্ষার কাজ। সেই হিসেবে এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন করতে গেলে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুতে এফএলসি চালু করতেই হবে।
কতগুলি কন্ট্রোল ইউনিট (সিইউ), ব্যালট ইউনিট (বিইউ) এবং ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট) এবারের ভোটে কাজে লাগবে, সেই হিসেবও কমিশন ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট হয়েছিল করোনা আবহে। এবার তেমন কোনও পরিস্থিতি নেই। কমিশনের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে ৯৪ হাজার পোলিং স্টেশন হবে এবার। মোট বুথ সংখ্যার তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি ইভিএম ‘রিজার্ভ’ রাখার প্রয়োজন হয়। ফলে বিধানসভা ভোটের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০টি ইভিএমের প্রয়োজন পড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক ইভিএম ছাড়াও সিইউ এবং ভিভিপ্যাট যাচাই করতে অন্তত এক মাস সময় লাগবেই। সেই মতো জেলা প্রশাসনগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, ইভিএম পরীক্ষার জন্য ব্যাটারির প্রয়োজন। সেই ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ ইস্যু করা হয়েছে। ভোটারদের আঙুলে কালি দেওয়ার জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ ভায়াল কালি দরকার। সেই কালি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট একটি পোর্টালে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও দপ্তর, স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীর তথ্য আপলোড করার কাজও শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হবে।