বার্ষিক রিপোর্টে ফেল, পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করল জেলার ১৪ পঞ্চায়েত
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুজোর আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন (২০২৪-২৫) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৫০টির বেশি পঞ্চায়েত ফেল করেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই নিজস্ব আয় বৃদ্ধি বিভাগে লাল কালির দাগ পেয়েছে। এদের মধ্যে ১৪টি পঞ্চায়েত ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানাল। ওই পঞ্চায়েতগুলির দাবি, তারা যথেষ্ট আয় বৃদ্ধি করেছিল। তবুও কেন তাদের এই বিভাগে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে, সেটা জানতেই ফের মূল্যায়ন করার আর্জি জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সব আবেদন পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জেলায় যে ১৪টি পঞ্চায়েত আবেদন করেছে, তার মধ্যে রয়েছে, পাথরপ্রতিমার তিনটি, ক্যানিং ২, মথুরাপুর ১ ও মন্দিরবাজারের দুটি করে পঞ্চায়েত এবং ভাঙড় ১, মগরাহাট ২, ক্যানিং ১, কাকদ্বীপ ও সাগরের একটি করে পঞ্চায়েত। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর পঞ্চায়েতগুলি নিজেদের রেজাল্ট পর্যালোচনা করে। তখনই অনেকের মনে হয়েছে, নিজস্ব আয় বৃদ্ধি বিভাগে তারা নিয়মমাফিক কাজ করলেও চূড়ান্ত ফলাফলে তাদের ফেল দেখানো হয়েছে। যেমন ক্যানিং ১ ব্লকের বাঁশরা পঞ্চায়েত জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ সালে তারা ২৬ হাজার টাকার বেশি আয় বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে এই বিভাগে আমাদের লাল কালি এসেছে। কিন্তু কেন এমনটা হলে সেটা জানতেই পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা হয়েছে। মথুরাপুর-১ ব্লকের লালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তারা সঠিক তথ্য ও নথি জমা দিয়েছিল। সেক্ষেত্রে কেন তারা পাশ করতে পারল না সেটা জানার জন্য জেলার কাছে আবেদন করা হয়েছে। বাকি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষও কারণ জানতে ফের যাচাইয়ের আবেদন করেছে।
এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পঞ্চায়তগুলির মনে হয়েছে যে তারা ভালো ফল করতে পারত। কিন্তু একটিই বিভাগে লাল দাগ আসায় সার্বিকভাবে ফেলের তালিকায় পড়ে গিয়েছে। তাই যাদের মনে হয়েছে যে জমা দেওয়া নথি আবার যাচাই করা দরকার তারা আবেদন জানিয়েছে। এবার দপ্তর সেটা বিবেচনা করে দেখবে।