• গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে গেমিং অ্যাপে লাগাতেন ধৃত স্বল্পসঞ্চয় এজেন্ট, রিজেন্ট এস্টেট পোস্ট অফিস কাণ্ডে এবার নয়া তথ্য
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রিজেন্ট এস্টেট পোস্ট অফিসে কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে চাঞ্চল্যকর মোড়! গ্রাহকদের সঞ্চিত টাকা আত্মসাৎ করে তা গেমিং অ্যাপে লাগাতেন ধৃত স্বল্পসঞ্চয় এজেন্ট সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে, এই মামলার তদন্তভার স্থানীয় যাদবপুর থানার হাত থেকে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।  

    লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, ‘এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে। তবে রোজই খোয়া যাওয়া টাকার অঙ্ক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’ তদন্তকারীদের মতে, রিজেন্ট এস্টেট পোস্ট অফিসের প্রভাবশালী কারও যোগসাজস ছাড়া সাধারণ গ্রাহকের বিনিয়োগ করা কোটি কোটি টাকা এভাবে কোনও এজেন্টের পক্ষে আত্মসাৎ করা কার্যত অসম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই এই মামলায় সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টারের ভূমিকা আতশকাচের তলায় রয়েছে। তবে এখনও লালবাজার তাঁকে গ্রেফতার করেনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের বাবা এই পোস্ট অফিসের একজন এজেন্ট ছিলেন। এজেন্ট হিসেবে ওই তল্লাটে তাঁর সৎ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ছিল। তাঁর এই  জনপ্রিয়তার জন্য যাদবপুর, রিজেন্ট এস্টেট, বাঘাযতীন এলাকার গ্রাহকরা তাঁর মাধ্যমে মোটা টাকা কেভিপি, এনএসসি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনাতে বিনিয়োগ করতেন। সেই সুবাদে তাদের বাড়িতে গ্রাহকদের পাসবই থাকত। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাবার মৃত্যুর পর সিদ্ধার্থ পোস্ট অফিসের প্রভাবশালী কারও সাহায্যে গ্রাহকদের পাসবই থেকে টাকা তুলে নিতে শুরু করে। গ্রাহকদের সন্দেহ যাতে না হয়, তার জন্য জাল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হত। এভাবেই প্রতারণা চলছিল। এদিকে, তদন্তে নেমে লালবাজার জানতে পেরেছে, একাধিক গেমিং অ্যাপে টাকা লাগাতে গিয়ে প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে তার। ফলে গ্রাহকদের টাকা আদৌ কতটা উদ্ধার করা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান লালবাজার। 
  • Link to this news (বর্তমান)