• দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১১, রেলমন্ত্রীর ইস্তফা চায় কংগ্রেস
    এই সময় | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: বিলাসপুরে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ঘাড়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেন উঠে পড়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১১। মৃতদের মধ্যে আছেন প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির চালক বিদ্যা সাগর। আর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সহকারী চালক রশ্মি রাজ।

    জানা গিয়েছে, সিগন্যাল লাল থাকা সত্ত্বেও ট্রেন নিয়ে এগিয়ে যান বিদ্যা সাগর, যার জেরে এই দুর্ঘটনা। রেল সূত্রে খবর, সে দিন দুপুর ৩টে ৩১-এর সিগন্যালটি লাল হয় এবং তা ভেঙে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি পাস করে বিকেল ৩টে ৫০ নাগাদ।

    ঘটনার পরেই রেলের পরিষেবা ও চালক-সহ কর্মীদের উপরে অত্যধিক চাপের অভিযোগ ওঠে। বিশ্রামের সুযোগ, পর্যাপ্ত ঘুম, ছুটিছাটার অভাব নিয়ে বহুদিন ধরে সরব রেলকর্মীদের বড় অংশ। মঙ্গলবারের দুর্ঘটনাকে 'অত্যন্ত দুঃখজনক' বলে চিহ্নিত করে ছত্তিসগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের ভূপেশ বাঘেল বলেন, 'কয়লা পরিবহণে ব্যস্ত সরকার। অথচ যাত্রীদের দিকে তাদের নজর নেই। মানুষের প্রাণের দাম এখন কয়লার চেয়ে কম।' কংগ্রেসের আর এক নেতা টিএস সিং দেও বলেন, 'দেশের নানা প্রান্তে পরপর ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট ও তাতে বহু মৃত্যুর খবর মিলছে। রেলের মাত্রাছাড়া গাফিলতির জন্যই এই ঘটনাগুলি ঘটছে। এর নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত রেলমন্ত্রীর। মৃতদের পরিবারের একজনকে রেলে চাকরির দাবিও জানাচ্ছি আমরা।'

    গাফিলতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে রেলের এক আধিকারিক বলেন, 'সিগন্যাল ভেঙে ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে মালগাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। অথচ মালগাড়িটি কাছেই ছিল। তা সত্ত্বেও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক কেন সিগন্যাল ভাঙলেন, কেনই বা ইমারজেন্সি ব্রেক কষলেন না- তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।' তদন্তের দায়িত্বে আছেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। সংঘর্ষের অভিঘাতে মালগাড়ির ব্রেক ডভ্যানও দুমড়ে মুচড়ে যায়। গার্ড তখন ব্রেক ভ্যানে হাজির ছিলেন। শেষ মুহূর্তে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান তিনি।

    মঙ্গলবার গেবরা রোড থেকে বিলাসপুর যাচ্ছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। গাতোরা-বিলাসপুরের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেই উদ্ধারকাজে হাত মেলান পুলিশ, প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ, গুরুতর আহতদের ৫ লক্ষ এবং অল্প জখমদের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে রেল। রাজ্যের তরফে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও।

  • Link to this news (এই সময়)