• পাত্রসায়রে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, মার, পাল্টা মারের অভিযোগে সরগরম
    এই সময় | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • SIR-এর আবহে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে। হাটকৃষ্ণনগর গ্রামে বুধবার রাতে দফায় দফায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির মণ্ডল যুব সভাপতির বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাদের স্থানীয় তিন নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার রামনগর গ্রামে SIR-এর কাজ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির দাবি, রামনগর বুথে BLO যখন এমিউনারেশন ফর্ম বিলি করছিলেন, তৃণমূলের লোকজন বিজেপির BLA-2 নারায়ণ বাগদীকে ব্যাপক মারধর করে। এই নিয়ে দিনভর চাপানউতোর চলে।

    এরই মধ্যে বুধবার রাতে বিজেপির একদল কর্মী রামনগর গ্রামে যাত্রা দেখতে গেলে তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে অশান্তি হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বেশ কয়েকজন আহতও হন।

    অভিযোগ, এর পরেই তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্তের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার হাটকৃষ্ণনগর গ্রামে বিজেপির মণ্ডল যুব সভাপতি স্বরূপ ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়িতে থাকা বাইক, ফ্রিজ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

    যদিও সুব্রত দত্তের বক্তব্য, ‘স্বরূপ ঘোষই দলবল নিয়ে আমাদের যুব নেতা মিলন কড়ির উপর হামলা করে। টাঙ্গির কোপ মারা হয় মিলন কড়িকে। পাল্টা তো হবেই। ছাড়ের জায়গা নেই। আমি বিজেপির বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে বলব, রামনগরের মানুষ আপনাকে তাড়া করেছে বলে, পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করেছেন। সামাল দিতে পারবেন তো? এই ঘৃণ্য রাজনীতি সামলাতে পারবেন না। আমাদের তিন জন আহত হয়েছেন।’

    বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি, পুলিশকে দাঁড় করিয়ে তৃণমূল এই সব করেছে। দম থাকলে সামনাসামনি লড়াই করুক।

  • Link to this news (এই সময়)