সতর্কবার্তা মানেননি অনভিজ্ঞ চালক! ছত্তিশগড়ে রেল দুর্ঘটনায় সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে মঙ্গলবার বিকেলে হওয়া ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২০ জন। গত কয়েক বছরে ঘন ঘন দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রেল। শুরু হয়েছে তদন্ত। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে আসছে লোকো পাইলটের অনভিজ্ঞতা। অতিরিক্ত গতি থাকা ট্রেনটিকে সতর্কবার্তা দিলেও তা মান্য করা হয়নি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিলাসপুরে রেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সতর্কবার্তা উপেক্ষা। যাত্রীবাহী ট্রেনটি মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেওয়ার আগে একাধিক সতর্কতা এবং বিপদ সংকেত উপেক্ষা করেছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে লোকো পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তের বিষয়টি উঠে এসেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যখন যাত্রীবাহী ট্রেনটি গাতোরা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়, তখন সবুজ সংকেত পাওয়ার পর এটি ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার বেগে চলছিল। এরপর জোড়া হলুদ এবং একটি হলুদ সংকেত অতিক্রম করে। দুটি সংকেতই ট্রেনটিকে গতি কমাতে সতর্ক করেছিল, যদিও গতি কমাননি চালক।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে সংঘর্ষের কিছুক্ষণ আগে ট্রেনটি একটি লাল বিপদ সংকেত পেয়েছিল। তাতেও ট্রেন থামেনি। সেই সময়ে ট্রেনটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলছিল। এরপরেই একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক বিদ্যাসাগর কিছুদিন আগে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র পান। প্রশ্ন উঠছে, অনভিজ্ঞতার কারণেই কি দুর্ঘটনা ঘটল?
দুর্ঘটনাস্থলের একাধিক ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই ছিল যে মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে কিছুটা উপরের দিকে উঠে যায় যাত্রীবাহী ট্রেনটির একটি অংশ। একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায় ট্রেনের প্রথম কামরাটি। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি বগিও লাইনচ্যুত হয়। যা ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডলের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সঙ্গে মিলে যায়।