• কেন হস্তক্ষেপ হাই কোর্টের? রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে ওবিসি মামলায় ‘সুপ্রিম’ প্রশ্ন
    প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তা সত্ত্বেও কেন পুরনো মামলা শুনবে কলকাতা হাই কোর্ট? ওবিসি মামলায় উষ্মাপ্রকাশ সর্বোচ্চ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টের তরফে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয়। এদিন আদালতে রাজ‍্যের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “রাজ‍্য একটি মামলায় স্থগিতাদেশ পেলেও কলকাতা হাই কোর্ট বলছে পুরনো মামলার শুনানি করবে। ১৮ তারিখে কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি।” কলকাতা হাই কোর্ট পুরনো মামলার শুনানি করছে জেনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি গাভাই। তিনি বলেন, “আমরা যখন মামলা শুনছি, তখন কলকাতা হাই কোর্ট কেন পুরনো মামলা শুনবে বলছে? নতুন মামলার স্থগিতাদেশেই তো সব কথা উল্লেখ করা আছে। আগামী শুনানিতে হাই কোর্টের বেঞ্চ বদল করার নির্দেশও দিতে পারে।”

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত বড়সড় রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়। তার ফলে বাতিল হয়ে যায় কয়েক লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। ডিভিশন বেঞ্চের দাবি, ২০১০ সাল পরবর্তী ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ নিয়ম মেনে ইস্যু করা হয়নি। তাই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ। তবে শংসাপত্র বাতিলের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়েনি। তাঁদের সকলের চাকরি বহাল থাকবে বলেই জানায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। দাবি জানানো হয়, হাইকোর্টের রায়ের ফলে অনেক মানুষের সমস্যা হচ্ছে। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক হাই কোর্টের নির্দেশের উপর। তবে এর আগের শুনানিতে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বলা হয়, ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে সংরক্ষণ দেওয়া যায় না। রাজ্যের তরফেও জনানো হয়, ‘ধর্মের ভিত্তিতে’ কোনও শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই মামলাতেই এদিন স্বস্তি পেল রাজ্য।
  • Link to this news (প্রতিদিন)